—প্রতীকী চিত্র।
দল থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে কুড়মি সমাজের সমর্থনে ভোটের ময়দানে নামলেন তৃণমূলের আরও এক জেলা পরিষদ প্রার্থী। বৃহস্পতিবার জয়পুর ব্লকের ১৮ নম্বর জেলা পরিষদ আসনে তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়া সীমারাণি মাহাতো কুড়মি সমাজের সমর্থনে ভোটে লড়বেন বলে জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ায় আদিবাসী কুড়মি সমাজের জেলা কার্যালয়ে এসে সমাজের সমর্থনে ভোটে লড়ার কথা জানান তিনি।
সীমারানি বলেন, ‘‘ওই আসনে গতবারই আমার টিকিট পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমান যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি মেঘদূত মাহাতোকে দল প্রার্থী করায় আমি সরে দাঁড়িয়েছিলাম দলের স্বার্থেই। কিন্তু এ বারেও দল আমাকে বঞ্চিত করায় বিষয়টি মেনে নিতে পারিনি। তাই আমাদের সামাজিক সংগঠনের সমর্থনেই ভোটে লড়ব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ কয়েকদিন আগে ঝালদা ১ ও ঝালদা ২ ব্লকের দু’টি জেলা পরিষদ আসনে তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়া অসীমা মাহাতো ও নিরূপা মাহাতো টিকিট না পেয়ে দল ছেড়ে একই ভাবে কুড়মি সমাজের সমর্থনে ভোটে লড়ার কথা ঘোষণা করেন। বঙ্গজননী মহিলা সমিতির ব্লক সভানেত্রী সীমারাণি বলেন, ‘‘আমি দল ছেড়েই সমাজের সমর্থনে লড়াইয়ের ময়দানে রইলাম।’’ আদিবাসী কুড়মি সমাজের মূল মানতা অজিত মাহাতো বলেন, ‘‘ঝালদা ১ ও ঝালদা ২ ব্লকের দুই প্রার্থী যাঁরা তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন তাঁরা ইতিপূর্বেই আমাদের সমর্থনে লড়বেন বলে জানিয়েছিলেন। এ দিন জয়পুর ব্লকের সীমারাণি মাহাতোও একই ভাবে আমাদের সংগঠনের সমর্থনে লড়বেন বলে জানিয়েছেন।’’ জয়পুরের অন্য আসনেও কুড়মি সমাজের সমর্থনে লড়ছেন জিতেন্দ্রনাথ মাহাতো। ওই আসনে নির্দল হিসেবে লড়ছেন তৃণমূলের টিকিট না পাওয়া জেলা সাধারণ সম্পাদক কীর্তনচন্দ্র মাহাতোও। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়ার প্রতিক্রিয়া, ‘‘শুনেছি জয়পুরের সীমারাণি মাহাতো দল ছেড়ে দিয়েছেন। যদিও ভোটে এর প্রভাব পড়বে না।’’