ফাইল চিত্র
দুপুরে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। রাতেই তৃণমূলে ফিরলেন দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতি মহিলা সদস্য রফিকা বিবি ও তাঁর স্বামী ইসরাফিল খান। তাঁদের সঙ্গে যারা গিয়েছিলেন তাঁরাও ফিরেছেন বলে দাবি রফিকার।
বৃহস্পতিবার দুবারজপুরের দুটি পঞ্চায়েত এলাকার তিনটি গ্রাম থেকে বেশ কিছু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেই তালিকায় ছিলেন রফিকা ও ইসরাফিল। বিজেপি তখন দাবি করেছিল, দু’দফায় দুবরাজপুরে বিজেপির কার্যালয়ে জেলা সাধারণ সম্পাদক উত্তম রজক ও যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক অনুপ সাহার হাত ধরে এ দিনই যোগ দিয়েছেন কয়েকশো মানুষ। বিজেপি নেতারা বলেছিলেন, ‘‘শাসক দলের দুর্নীতি ও অপশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতেই দলবদলে আগ্রহ দেখাচ্ছেন সংখ্যালঘুরা। এটা তৃণমূলের শেষের শুরু।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বালিজুড়ি পঞ্চায়েতে দুটি গ্রাম আগয়া ও কাপাসতোড় এবং লক্ষ্মীনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের পাকুরিয়া— এই তিনটি গ্রাম থেকেই যোগদান পর্ব হয়েছিল। রফিকা দুপুরে বলেছিলেন, ‘‘কোনও দিনও দলে গুরুত্ব পাইনি। মানুষের জন্য কাজ করতে পারিনি। নিজের কাছে নিজেকে ছোট মনে হচ্ছিল। তাই বাধ্য হয়েই বিজেপিতে এলাম।’’ একই বক্তব্য ছিল তাঁর স্বামীরও।
রাতেই ছবিটা বদলে যায়। রাত পৌনে নটা নাগাদ দুবরাজপুর ব্লক তৃণমূল কার্যালয়ে এসে ফের তৃণমূলে যোগ দিলেন রফিকারা। তখন তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি প্রলোভন দেখিয়েছিল। আমরাও ভুল বুঝেছিলাম তাই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম। পরে ভুল বুঝতে পেরে ফেরত এলাম। দলে ছিলাম, আছি, থাকব।’’
বিজেপি জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডলের দাবি ওই নেতা-কর্মীদের ভয় দেখিয়ে ফিরিয়ে এনেছে তৃণমূল। তাঁর কথায়, ‘‘ওঁরা স্বেচ্ছায় বিজেপিতে এসেছিলেন। জোর করিনি। এই মত বদলের পিছনে তৃণমূলের পরিচিত খেলা রয়েছে বলে আমি নিশ্চিত। পুলিশ লেলিয়ে, মিথ্যা মামালায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওঁদের জোর করে দলে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছে।’’ তৃণমূলের দুবরাজপুর ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্র পাল্টা বলছেন, ‘‘বিজেপির চাপেই ওঁরা সাময়িক বিভ্রান্ত হয়েছিলেন। ভুল বুঝে ফিরে এসেছেন। আমরা পুলিশকে ব্যবহার করি না। শ্যামাপদ বাবু নিজেদের অভ্যেস মতো কথা বলছেন।’’