Amartya Sen

বিশ্বভারতীর জমা দেওয়া জমির নথি অমর্ত্যকে নয়, নোবেলজয়ীর আবেদন খারিজ সিউড়ি আদালতে

বিশ্বভারতীর জমা দেওয়া জমির নথিপত্রের প্রতিলিপি অর্থনীতিবিদের কৌঁসুলিকে দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছে না বীরভূমের সিউড়ি জেলা আদালত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৪৭
Share:

অমর্ত্য সেন। —ফাইল ছবি।

আদালতে খারিজ হয়ে গেল অমর্ত্য সেনের আবেদন। বিশ্বভারতীর জমা দেওয়া জমির নথিপত্রের প্রতিলিপি অর্থনীতিবিদের কৌঁসুলিকে দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছে না বীরভূমের সিউড়ি জেলা আদালত।

Advertisement

কোন কোন নথির ভিত্তিতে অমর্ত্যকে উচ্ছেদ নোটিস দিয়েছিল বিশ্বভারতী, তা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল জেলা ও দায়রা আদালত। গত শুক্রবার জেলা আদালতে সেই সংক্রান্ত নথি জমা দিয়েছিল বিশ্বভারতী৷ শনিবার সেই নথির প্রতিলিপি হাতে পাওয়ার দাবি জানিয়ে আদালতে আবেদন করেন অমর্ত্যের আইনজীবীরা। আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ অক্টোবর।

গত ১৯ এপ্রিল বিশ্বভারতীর সম্পত্তি আধিকারিক তথা যুগ্ম কর্মসচিব অশোক মাহাতো একটি চিঠি দেন অমর্ত্য সেনকে। ওই চিঠিতে ৬ মে-র মধ্যে শান্তিনিকেতনের প্রতীচী বাড়ির উত্তর পশ্চিম কোণ থেকে ‘অতিরিক্ত’ ১৩ ডেসিমাল জমি খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ৬ মে-এর মধ্যে ওই পরিমাণ জমি খালি না-করলে প্রয়োজনে ‘বলপ্রয়োগের’ হুঁশিয়ারিও ছিল নোটিসে। এর পরেই বীরভূম জেলা ও দায়রা আদালতে এই উচ্ছেদ নোটিসের উপরে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেন অমর্ত্যের আইনজীবীরা। বেশ কয়েক মাস ধরে সেই বিষয়ে দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে সওয়াল জবাব চলে। বিশ্বভারতীর সম্পত্তি আধিকারিকের এক্তিয়ার নিয়ে এবং ওই ১৩ ডেসিমাল জমির অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের আইনজীবীরা।

Advertisement

শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে গত ৮ অগস্ট উচ্ছেদের নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ দেন জেলা ও দায়রা বিচারক সুদেষ্ণা দে চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি কোন কোন নথির উপরে ভিত্তি করে এমন নোটিস জারি করা হয়েছিল, তাও বিশ্বভারতীর কাছ থেকে চেয়ে পাঠিয়েছিল আদালত। শুক্রবার সেই নথিই জমা করা হয় বিশ্বভারতীর তরফে। বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, শতাধিক পাতার এই নথিতে ১৯৪৩ সালে জমি লিজ দেওয়ার সময় থেকে শুরু করে ২০২৩ সালে উচ্ছেদের নির্দেশ পাঠানো পর্যন্ত সমস্ত রেকর্ড, নোটিস, নির্দেশ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় দলিল ও চিঠিপত্র রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement