সিপিএম কার্যালয়ের তালা ভাঙার নালিশ

গত বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার পর ভয় দেখিয়ে জেলায় সিপিএমের বেশ কিছু পার্টি অফিস বন্ধ করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল শাসক দলের বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ার পাত্রসায়রে সিপিএমের জোনাল অফিসটিতে এখনও ঝোলে তালা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাত্রসায়র শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৬ ০১:৫৩
Share:

গত বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার পর ভয় দেখিয়ে জেলায় সিপিএমের বেশ কিছু পার্টি অফিস বন্ধ করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল শাসক দলের বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ার পাত্রসায়রে সিপিএমের জোনাল অফিসটিতে এখনও ঝোলে তালা। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত শুক্রবার পাত্রসায় থানার বীরসিংহ পঞ্চায়েতের কাকাটিয়া গ্রামের পার্টি অফিসটি খুলেছিলেন দলীয় কর্মীরা। ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেই পার্টি অফিসের তালা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

Advertisement

বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য বীরসিংহ পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে কর্মিসভা করছে সিপিএম। শনিবার কাকাটিয়া গ্রামে সে রকমই একটি সভা ছিল। সিপিএমের পাত্রসায়র জোনাল কমিটির আহ্বায়ক তথা জেলা কমিটির সদস্য লালমোহন গোস্বামী জানান, সভা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে পার্টি অফিসে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিলেন দলীয় কর্মীরা।

তাঁর অভিযোগ, অফিস বন্ধ করে কর্মীরা চলে যাওয়ার পরেই মোটরবাইক নিয়ে গ্রামে ঢোকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পার্টি অফিসের তালা ভেঙে দেওয়া হয়। গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় টাঙানো সিপিএমের পতাকা ছিঁড়ে ফেলে তারা। লালমোহনবাবু বলেন, ‘‘গ্রামে লাল পতাকা দেখলে বাসিন্দাদের দেখে নেবে বলে হুমকি দিয়েছে ওই দুষ্কৃতীরা।’’

Advertisement

স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে থানায় বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু কমবেশি আড়াই কিলোমিটার দূরের থানা থেকে পুলিশের এসে পৌঁছতে প্রায় দু’ ঘণ্টা পেরিয়ে যায় বলে তাঁদের অভিযোগ। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন এলাকার সিপিএম নেতা কর্মীরা।

লালমোহনবাবুর বলেন, “গত লোকসভা নির্বাচনে বীরসিংহ পঞ্চায়েতের ৯ টি বুথের মধ্যে ৮টিতেই আমাদের প্রার্থী লিড পেয়েছিলেন। তার থেকেই ভয় পেয়ে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে শাসকদল। মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিলে দীপালি সাহা হেরে যাবেন বুঝতে পেরেই তারা গুন্ডাবাহিনী দিয়ে আমাদের অফিস বন্ধ করে দিতে চাইছে।’’

তবে যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির সদস্য তথা সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “আমরা গণতান্ত্রিক লড়াইয়ে বিশ্বাসী। দলের কেউ এমন কোনও ঘটনায় জড়িত নয়।’’ তাঁর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘পাত্রসায়রের মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন বুঝে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে মিথ্যা অভিযোগ করছে সিপিএম।’’

পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও অস্বীকার করেছেন বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীরকুমার। তিনি বলেন, “আমার কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement