কংগ্রেস পরিচালিত ঝালদা পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। এবং সেটা হল নিয়োগ নিয়ে পুরসভার বৈঠকের দিনেই।
পুরসভা পরিচালিত স্কুলগুলির জন্য কিছু শিক্ষক, চালক, মজদুর এবং কিছু টিউবয়েল অপারেটর, ট্যাক্স কালেক্টর পদে লোক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। পুরপ্রধান মধুসূদন কয়াল বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে ওই পদগুলি শূন্য রয়েছে। তাই নিয়োগ জরুরি। সেই নিয়োগ কী ভাবে হবে, তা সরজমিনে দেখতে এ দিন রাজ্য পুর দফতরের দুই প্রতিনিধি মনোজকান্তি রায় এবং তাপস বণিক ঝালদায় আসেন।
যখন সেই বৈঠক চলছে ঠিক তখন পুরসভার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে তৃণমূল। শাসকদলের নেতৃত্বের অভিযোগ, পুর কর্তৃপক্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত। তার তদন্ত করতে হবে। ধরে ধরে দেখতে হবে হিসেব। পুর দফতরের প্রতিনিধিদের স্মারকলিপি দেবেন বলেও তাঁরা দাবি করেন। পরিস্থিতি দেখে বৈঠক ছেড়ে প্রতিনিধিরা বেরিয়ে এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দেখা করেন। রাজ্য পুর দফতরের এক প্রতিনিধি বলেন, ‘‘পুরসভার কাজকর্ম নিয়ে বিক্ষোভকারীদের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। আমরা তাঁদের বলেছি নির্দিষ্ট জায়গায় অভিযোগ জানাতে। নিশ্চয়ই তার তদন্ত হবে।’’
এলাকার কংগ্রেস নেতারা অবশ্য এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে রাজনীতিই দেখছেন। এলাকার এক কংগ্রেস নেতার কথায়, ‘‘পুরসভা দীর্ঘ দিন ধরে শূণ্য থাকা কিছু পদে নিয়োগ করতে চাইছে। তা নিয়ে আলাপ আলোচনা চলছে। তাকে সাধুবাদ না দিয়ে শুধু শুধু রাজনীতি করছে।’’ আর পুরপ্রধান বলছেন, ‘‘নিয়োগ প্রক্রিয়া কী ভাবে হবে, তা নিয়েই রাজ্য পুর দফতরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক চলছিল। কারণ নিয়োগের আগে নিয়োগের নীতি কী হবে, কী ভাবে পরীক্ষা হবে— সে সব নিয়ে আলোচনা করতে হয়।’’ তৃণমূল নেতাদের অবশ্য মত, তাঁদের বিক্ষোভ অকারণ নয়। সে সব সামনে আসবেই।
বিজেপি-র বৈঠক। বিজেপি-র বাঁকুড়া জেলা কার্যকরী কমিটির বৈঠক হল ইঁদপুরের একটি বেসরকারি লজে। সোমবার ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরি ও সুভাষ সরকার, জোন ইনচার্জ সায়ন্তন বসু, জেলা সভাপতি পার্থসারথি কুন্ডু প্রমুখ। দলের বাঁকুড়া জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র বিবেকানন্দ পাত্র জানান, প্রায় ১৫০ জন প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন বৈঠকে।