সিউড়িতে ফের উদ্ধার ময়াল সাপ

সাপের সংখ্যাবৃদ্ধি যে হয়েছে তা মানছেন দীনবন্ধুবাবু ও বন দফতরের কর্তারা। তাঁদের মত, বীরভূমে রক পাইথন ছিলই। কিন্তু গত কয়েক মাসে যে ভাবে মানুষের চোখে পড়ছে, তাতে ময়ালের সংখ্যা বেড়েছে—এ কথা বলাই যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৮ ০০:২৮
Share:

কুণ্ডলী: উদ্ধার হওয়া সেই ময়াল। বুধবার সিউড়িতে। নিজস্ব চিত্র

ফের ময়াল উদ্ধার হল বীরভূমে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ময়ূরাক্ষী নদী লাগোয়া সিউড়ির খয়রাকুড়ি গ্রাম থেকে সাত ফুট লম্বা রক পাইথনটিকে উদ্ধার করেন ভারত সরকারের বন্যপ্রাণ দুর্নীতি দমন শাখার সদস্য দীনবন্ধু বিশ্বাস। গত কয়েক মাসে খয়রাশোল, রাজনগর ও ময়ূরাক্ষী নদী লাগোয়া সিউড়ির আশপাশের গ্রামগুলি থেকে গোটা দশেক ময়াল উদ্ধার হয়েছে। বিগত বছরগুলির তুলনায় উদ্ধার হওয়া ময়ালের সংখ্যা বেড়েছে।

Advertisement

সাপের সংখ্যাবৃদ্ধি যে হয়েছে তা মানছেন দীনবন্ধুবাবু ও বন দফতরের কর্তারা। তাঁদের মত, বীরভূমে রক পাইথন ছিলই। কিন্তু গত কয়েক মাসে যে ভাবে মানুষের চোখে পড়ছে, তাতে ময়ালের সংখ্যা বেড়েছে—এ কথা বলাই যায়। পেশায় স্কুল শিক্ষক দীনবন্ধুবাবু জানান, খয়রাকুড়ি গ্রামে সাপ দেখা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই খবর ছাত্রেরাই তাঁকে দেয়। বন দফতরকে জানিয়ে সাপটিকে উদ্ধার করেন তিনি। সাপটি সুস্থই ছিল। বুধবার সকালে উপযুক্ত পরিবেশে সাপটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ির নদী ঘেঁষা এলাকা থেকেই গত তিন মাসে ৫টি ময়াল উদ্ধার হল। এর মধ্যে দিন কয়েক আগে মাছের জালে দম আটকে একটি ময়ালের মৃত্যু হয়েছে। অন্য দিকে খয়রাশোলে, রাজনগরেও বেশ কয়েকটি ময়াল উদ্ধার হয়েছে এ বছর বর্ষার পর থেকে। খয়রাশোলের বাবুইজোড় গ্রামে আবার একটি ময়াল সাপকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছিলেন গ্রামবাসীর একাংশ। বীরভূমের এডিএফও বিজন কুমার নাথ বলেন, ‘‘নদীর জলে ভেসেও সাপ আসে। কিন্তু যে ভাবে একের পর এক ময়াল দেখা যাচ্ছে, তাতে এলাকায় ওই সাপের সংখ্যা বেড়েছে বলেই মনে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষেরও সচেতনতা জরুরি।’’ সহমত দীনবন্ধুবাবুও। তাঁর কথায়, ‘‘নদীর ধারের শর ঝোপে এদের খাদ্যের অভাব নেই। তাই নদী লাগোয়া এলাকায় বা জঙ্গলে ময়ালগুলির দেখা মিলছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement