Ballavpur

বল্লভপুরডাঙায় দ্রুত সমস্যা মেটাতে আশ্বাস

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বল্লভপুরডাঙা আদিবাসী এলাকার বাসিন্দারা পানীয় জল, রাস্তার সমস্যার কথা জানিয়ে ছিলেন।

Advertisement

বাসুদেব ঘোষ

শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২১ ০২:৩৫
Share:

দুয়ারে: বল্লভপুরডাঙায় বাসিন্দাদের সমস্যার কথা শুনছেন প্রশাসনের আধিকারিকেরা। বৃহস্পতিবার। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।

মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে নানা বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পর দিনই বল্লভপুরডাঙা আদিবাসী গ্রামে পৌঁছে গেলেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। এ দিন তাঁরা গ্রামবাসীর সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলে কার, কী ধরনের সমস্যা রয়েছে তা জানতে চান।

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বল্লভপুরডাঙা আদিবাসী এলাকার বাসিন্দারা পানীয় জল, রাস্তার সমস্যার কথা জানিয়ে ছিলেন। সেই মতো এ দিন গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে ঠিক হয় পানীয় জলের সমস্যা দূর করতে বল্লভপুরডাঙায় তিনটি এবং সরকারডাঙা এলাকায় একটি সোলার সাবমার্সিবল বসানো হবে। বল্লভপুরডাঙা এলাকায় নতুন করে তিনটি পাকা রাস্তা তৈরি করা হবে। এলাকার প্রায় ১৩০টি বাড়িতে নতুন করে শৌচাগার নির্মাণ করে দেওয়া সহ যাঁরা এখনও বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা পাননি তাঁদের সেই সমস্যার সমাধান করা হবে।

খুব তাড়াতাড়ি সমস্ত কাজ শেষ করা হবে বলেও এ দিন গ্রামবাসীকে আশ্বস্ত করেন প্রশাসনের আধিকারিকেরা। প্রশাসনের এই ধরনের তৎপরতা দেখে খুশি গ্রামবাসী। গ্রামবাসী সুন্দরী মুর্মু ,লক্ষ্মী টুডু, পূর্ণিমা মাড্ডিরা বলেন, “কোনও দিন কোনও মুখ্যমন্ত্রী এ ভাবে আমাদের অভাব-অভিযোগের কথা শোনেননি। আশা করি এত বছরে যে সমস্ত কাজ হয়নি এবার সেগুলি হবে।” জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই সমস্ত কাজ হবে।”

Advertisement

বুধবার জেলা সফর শেষ করার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন কেমন আছেন, তাঁরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা ঠিক মতো পাচ্ছেন কিনা তা সরেজমিনে দেখতে শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরির ভিতরে অবস্থিত রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বল্লভপুরডাঙা আদিবাসী গ্রামে যান। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে এলাকার বাসিন্দারা আবাস যোজনা বাড়ি, শৌচাগার, রাস্তা, বিধবা ভাতা, বিদ্যুৎ পরিষেবা না পাওয়া সহ একাধিক সমস্যার কথা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, সমস্যাগুলি নিয়ে বহুবার স্থানীয় প্রশাসনের কাছে গেলেও সুরাহা হয়নি। সব শুনে মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত তাঁদের সমস্যাগুলি সমাধানের নির্দেশ দেন জেলাশাসককে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement