গ্রামছাড়া তৃণমূল কর্মীরা। সোমবার পাপুড়িতে। —সোমনাথ মুস্তাফি
দলেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে দীর্ঘদিন তাঁরা গ্রামে ফিরতে পারেননি। অবশেষে ২৫ জন গ্রামছাড়া তৃণমূল কর্মী-সমর্থককে ঘরে ফেরাল জেলা পুলিশ-প্রশাসন।
সোমবার বিকেলে নানুরের পাপুড়ি গ্রামের ঘটনা। উপস্থিত ছিলেন নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক তৃণমূল বিধায়ক গদাধর হাজরা এবং পাশের কেতুগ্রামের বিধায়ক তথা পাপুড়ির বাসিন্দা শেখ সাহানেওয়াজ।
দলীয় সূত্রের খবর, রাজনৈতিক নানা অশান্তির জেরে নানুর থানার একাধিক গ্রামের মতো পাপুড়িতেও থেকেও বহু পরিবার গ্রামছাড়া হয়েছে। বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেও বহু বাসিন্দা এলাকায় আজও ঘরছাড়া। গত ছ’বছর ধরে গ্রামে ঢুকতে পারছিলেন না ষাটোর্ধ্ব জিলাই শেখ থেকে শুরু করে এই প্রজন্মের বহু যুবক। রাজ্যে পালা বদলের পরে বাম শিবির ছেড়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন অনেকে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই গত কয়েক বছর ধরে তৃণমূলের দলীয় সভা, সমিতিতে হাজির হওয়া থেকে নির্বাচনী কাজকর্ম সামলেছেন। পাপুড়িতে বাড়ি হলেও এত দিন বোলপুর, শান্তিনিকেতন-সহ আশপাশের থানা এলাকা এবং পাশের জেলায় থাকছিলেন তাঁরা।
নিজের গ্রামে ফেরা নিয়ে দলের পাশাপাশি তাঁরা স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন বছর খানেক ধরেই। এ দিন জিলাই শেখ, পান্না খান, রেজাউল খান, হাফিজুল শেখরা বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে পরে ভিটেয় পা রাখলাম। এত দিনের দেখভালের অভাবে অনেকের বাড়িতেই ঢোকায় কার্যত দায়।’’ অগত্যা সকলে জিলাই শেখের বাড়িতে উঠেছেন।
এ দিন গদাধর, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য, সাহানেওয়াজের উপস্থিতিতে এসডিপিও (বোলপুর) অম্লানকুসুম ঘোষ এবং নানুর থানার পুলিশ তাঁদের গ্রামে ফেরায়। গদাধর বলেন, ‘‘পাপুড়ি এলাকার বেশ কয়েক জন বাসিন্দা ঘরে ফিরতে পারলেন দেখে ভাল লাগছে।’’ বহু চেষ্টা করেও সাহানেওয়াজের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।