নেশা ছাড়াতে বোলপুরে শিবির

মদের নেশা ও তার কুপ্রভাব এবং যক্ষ্মা রোগের সংক্রমণ ও তার প্রতিকার নিয়ে একটি আলোচনা ও পরামর্শের জনসচেতনতা শিবির হয়ে গেল লায়েকবাজারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৭ ০০:২৮
Share:

মদের নেশা ও তার কুপ্রভাব এবং যক্ষ্মা রোগের সংক্রমণ ও তার প্রতিকার নিয়ে একটি আলোচনা ও পরামর্শের জনসচেতনতা শিবির হয়ে গেল লায়েকবাজারে। শান্তিনিকেতন থানার লায়েকবাজার দাসপাড়ায় আয়োজিত রবিবার বিকেলের ওই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা, পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী সমাজ, বাকজুলু আদিবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ও নীলডাঙা সিধু কানু স্মৃতি সঙ্ঘ। দাসপাড়া ক্লাব প্রাঙ্গনে এদিনের ওই শিবিরে হাজির ছিলেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের যক্ষ্মা রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মুকুন্দ দাস, বোলপুরের এসডিপিও অম্লান কুসুম ঘোষ, শান্তিনিকেতন থানার ওসি পূর্ণেন্দু বিকাশ দাস প্রমুখ। ওই শিবিরে রোগের উপসর্গ ও প্রতিকার নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দাস। নেশার কুপ্রভাব, নেশাসক্তদের কি ভাবে বেরিয়ে আসতে হয় এবং সসম্মানে জীবিকা নির্বাহ করার উপায় শিবিরে হাজির শতাধিক পুরুষ ও মহিলাদের বাতলে দেন পুলিশ অফিসারেরা। এমন অন্ধকার ও দৈন্য দশা ঘোচাতে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন শিক্ষক রবিন হাঁসদা, শিবু সরেন এবং পাঠভবনের শিক্ষক হারাধন সরেন প্রমুখেরা। আয়োজকদের পক্ষে কালিপদ হেমব্রম জানান, নেশায় আসক্ত এই এলাকার ৭ যুবককে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফেরা জন্য বিশেষ জীবিকা হিসেবে ভ্যান রিকশা পুলিশের পক্ষে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি পরিবারের এমন মহিলাদের বিকল্প জীবিকা হিসেবে টেলারিং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার কথাও জানিয়েছেন উপস্থিতেরা। নেশাবিমুক্তির জন্য জনসচেতনতা মূলক গান পরিবেশন করেন সঙ্গীত শিল্পী শবান টুডু। এ দিনের ওই শিবিরে শুধু আলোচনাই নয়, স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। আসক্ত এবং নানা সামাজিক অপরাধে যুক্ত শতাধিক পুরুষ, মহিলাদের পাশাপাশি আশপাশের বহু তফশিলি জাতি, উপজাতি এবং অনগ্রসর শ্রেণির মানুষজন হাজির ছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement