ছানি অস্ত্রোপচার করাতে গিয়ে দৃষ্টিশক্তি হারানোর অভিযোগের তদন্ত এ বার পৃথক ভাবে শুরু করল পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার জেলাশাসক অলকেশপ্রসাদ রায় বলেন, ‘‘প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগের তদন্তও শুরু হয়েছে।’’ জানা গিয়েছে, দৃষ্টিশক্তি হারানো তিন বৃদ্ধের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন প্রশাসনের তদন্তকারীরা।
পাড়া থানা এলাকার বিভিন্ন গ্রামের তিন ব্যক্তি সম্প্রতি জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের কাছে অভিযোগ করেন, ঝালদার একটি নার্সিংহোমে ছানি অস্ত্রোপচার করানোর পরে তাঁরা ওই চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। ইতিমধ্যে ওই নার্সিংহোমে চোখের অস্ত্রোপচার আপাতত বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিলকুমার দত্ত বলেন, ‘‘যে অপারেশন থিয়েটারে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল, সেটির পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি নার্সিংহোমের পরিকাঠামোও খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগকারীদের কোনও মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হবে।’’
এদিকে বৃহস্পতিবার ঝালদার ওই নার্সিংহোমের পক্ষে কয়েকজন প্রতিনিধি পাড়ার বিভিন্ন গ্রামে দৃষ্টিশক্তি হারানো লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁরা চিকিৎসা করানোর জন্য বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যেতে চাইলেও প্রশাসন বা স্বাস্থ্য দফতরের কোনও ব্যক্তি ছাড়া তাঁরা যেতে রাজি হননি বলেই জানা গিয়েছে।
নার্সিংহোমের পক্ষে মুকেশ চন্দ্র বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য দফতর আপাতত আমাদের চোখের চিকিৎসা বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশ আমরা মানছি।’’ তিনি জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর ওই ব্যক্তিদের চোখের অস্ত্রোপচার হয়েছিল। কিন্তু এতদিন পরে তাঁরা কেন অভিযোগ করেননি? যাই হোক আমরা তাঁদের ভাল চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তাঁরা এ দিন যেতে চাননি।’’ চরপটিয়া গ্রামের মনোহর বাউরি অবশ্য দাবি করেন, ‘‘এ দিন ওই নার্সিংহোমের তরফে কেউই চিকিৎসার জন্য অন্য কোথাও নিয়ে যাবেন বলে জানাননি। শুধু ওই নার্সিংহোম থেকে একজন আসবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু আসেননি।’’