ফাইল চিত্র।
নতুন কৃষি আইনের বিরোধিতায় মিছিলে এসে রবিবার বড়জোড়ায় দলের কর্মীদের সজাগ করে গেলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘শুনে রাখুন, নেত্রী এক জনই। আর কোনও দাদা, দিদি নেই। যাঁরা দিনের বেলায় তৃণমূল করবেন, রাতে বিজেপি করবেন, তাঁদের গ্রামে ঢুকতে দেবেন না।’’ এরপরেই তিনি দাবি করেন, ‘‘বেশ কিছু দাগি আসামি নিজেদের বাঁচাতে বিজেপিতে গিয়েছেন। হয়তো ভবিষ্যতে আরও দু’-একটাকে দেখতে পাবেন।’’
রবিবার সকালে বড়জোড়ায় মিছিল ও সভা করে তৃণমূল। কল্যাণ বলেন, ‘‘নতুন কৃষি আইনে নীলকরদের মতো আদানি আম্বানিদের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। তাঁরা যে দাম বলবেন, সেই দামেই কৃষক ফসল বিক্রি করতে বাধ্য থাকবেন। কৃষকদের কোনও স্বাধীনতা থাকবে না।’’
কল্যাণের দাবি, এখন কোনও অসাধু ব্যবসায়ী ফসলের দাম অন্যায় ভাবে বেশি নিলে, রাজ্য সরকারের ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা আছে। কিন্তু নতুন কৃষি আইনে সে ক্ষমতা থাকবে না।’’
যদিও বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের দাবি, ‘‘কৃষি আইন নিয়ে মানুষকে পুরো ভুল বোঝাচ্ছে তৃণমূল। আগামী দিনে এই আইনের জন্য সরাসরি কৃষকদের হাতে ফসলের ন্যায্য মূল্য আসবে। জোতদারদের মৌরসিপাট্টা খর্ব হবে। সেটাই তৃণমূল মেনে নিতে পারছে না।’’