দুর্ঘটনা, অবরোধে ভোগান্তি দিনভর

আড়শা: বাস ও একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হলেন ১৯ জন যাত্রী। শুক্রবা র বেলা ৯টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে পুরুলিয়া-জামশেদপুর (৩২ নম্বর) জাতীয় সড়কে, আড়শা থানা এলাকার কৌরাং গ্রামের অদূরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৭ ০২:৩৩
Share:

দুমড়ে: দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। নিজস্ব চিত্র

আড়শা: বাস ও একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হলেন ১৯ জন যাত্রী। শুক্রবা র বেলা ৯টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে পুরুলিয়া-জামশেদপুর (৩২ নম্বর) জাতীয় সড়কে, আড়শা থানা এলাকার কৌরাং গ্রামের অদূরে। আহতদের পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে ৫ জন সেখানে চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন মানবাজার-পুরুলিয়া রুটের একটি যাত্রীবাহী বাস বলরামপুর হয়ে পুরুলিয়ার দিকে আসছিল। কৌরাং গ্রামের অদূরে একটি বাঁকে উল্টো দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে সেটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দু’টি গাড়িই বেশ গতিতে আসছিল। বাসের একাধিক যাত্রী ছিটকে পড়ে যান। স্থানীয় মানুষজন তাঁদের উদ্ধার করেন।

কিছুক্ষণের মধ্যেই আড়শা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আহত ১৯ জনকে উদ্ধার করে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নিযে যাওয়া হয়। সেখানে পাঁচ জন বাদে বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। বলরামপুরের উরমা গ্রামের বাসিন্দা যুধিষ্ঠির পরামাণিকের ঘাড়ে চোট লেগেছে ওই দুর্ঘটনায়। তিনি পুরুলিয়া শহরে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘ভিতরে বসেছিলাম। হঠাৎ জোর ঝাঁকুনি। আর কিছুই বুঝতে পারিনি।’’ বড় উরমা গ্রামের বাসিন্দা সুভদ্রা পরামাণিকের মাথায় চোট লেগেছে। তাঁরও দাবি, গাড়িটি বেশ গতিতেই যাচ্ছিল।

Advertisement

পুলিশ বাস ও পিকআপ ভ্যানটি আটক করেছে। চালকেরা পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে। দুর্ঘটনার জেরে ওই সড়কে বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল ব্যহত হয়। পরে পুলিশ গাড়ি দু’টি সরিয়ে নেওয়ার পরে একটু একটু করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

কিন্তু যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ সেখানেই নয়। দুর্ঘটনার ঘণ্টা দু’য়েক পরে অন্য দাবিতে ওই এলাকা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে কাঁটাডিতে অবরোধ শুরু হয়। একশো দিনের কাজের প্রকল্প সংক্রান্ত দাবিদাওয়া নিয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় বিভিন্ন গ্রামের মহিলারা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা সেই অবরোধ চলে।

সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জাতীয় সড়কে নাজেহাল হতে হয়েছে যাত্রীদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement