সভার মঞ্চে। নিজস্ব চিত্র
ব্রিগেড ভরাতে তৃণমূলের শুধু বাঁকুড়া জেলার মানুষই যথেষ্ট— বুধবার ছাতনা বাইপাসের জনসভায় ভিড় দেখে এই মন্তব্য করলেন দলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নানা মন্তব্যে বিঁধলেন বিজেপিকেও। এ দিন জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ খান দাবি করেন, অভিষেকের সভায় লক্ষাধিক মানুষ এসেছিলেন। পুলিশের হিসাবে সংখ্যাটা হাজার সত্তর। তবে বিজেপির দাবি, মেরেকেটে কুড়ি হাজার মানুষ ছিলেন অভিষেকের সভায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুভাষ সরকার বলেন, “অভিষেকের সভাস্থল ভরাতে পুলিশ এবং প্রশাসনও উঠেপড়ে লেগেছিল। তার পরেও মাঠ পুরো ভরেনি।’’ তবে তাঁর কথায় আমল দিতে নারাজ অরূপবাবু। তিনি বলেন, ‘‘ব্রিগেডে ভিড় উপচে পড়বে, সেটাই আমাদের এ বারের লক্ষ্য।’’
এ দিনের সভায় অভিষেক জানান, ব্রিগেডে অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অখিলেশ যাদব, যশবন্ত সিনহা, শত্রুঘ্ন সিনহার মতো নেতারা-সহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা উপস্থিত থাকার কথা। তিনি বলেন, ‘‘ওই সভা থেকেই বিজেপির বিদায় ঘণ্টা বাজাব আমরা।” সভায় ভিড় নিয়ে দলের জেলা পর্যবেক্ষকের মন্তব্যে উজ্জীবিত জেলা তৃণমূল নেতারাও। গত প্রায় এক মাস ধরে জেলার বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে অভিষেকের ছাতনার সভা ও আগামী ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের সভার প্রচার করেছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এ দিন জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ খান বলেন, “গত কয়েক সপ্তাহে জেলা জুড়ে ১৩০টির বেশি সভা করেছি। ব্লক ও অঞ্চল স্তরে সভাগুলি হয়েছে। তারই সুফল মিলেছে।’’
এ দিনের সভায় বিজেপির ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’কে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, “বিজেপি বাসকে রথ বলছে। আগে ছিল রথযাত্রা, এখন আবার বলছে গণতন্ত্র যাত্রা। যখন বাম আমলে সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের ঘটনা ঘটে, তখন এই বিজেপির লোকজন কোথায় ছিলেন?” সিপিএমকে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, “এখন কৃষক দরদি হতে চাইছে সিপিএম। দীর্ঘ বাম আমলে বহু চাষিকে হত্যা করেছে ওরা। জমি ছিনিয়ে নিয়েছে।’’
লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে দলের জেলা নেতৃত্বকে জনসংযোগ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক। তিনি বলেন, “দলের সমস্ত শ্রেণির কর্মীরা মানুষের বাড়িতে বাড়িতে যান। আগামী লোকসভা ভোটে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে তিন লক্ষের বেশি ভোটের ব্যবধানে জিতব আমরা।”