Murder at Bankura

নৈশরক্ষী ‘খুন’, ক্ষোভে অবরোধ জাতীয় সড়কে

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত নাজিবউদ্দিন দালাল (৬৪) বাঁকুড়া শহরের কেঠারডাঙার বাসিন্দা। তিনি নানা জায়গায় নৈশপ্রহরীর কাজ করতেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৪১
Share:

পথ আটকে। রবিবার সকালে বাঁকুড়ার পাতাকোলা শ্মশান সংলগ্ন বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। —নিজস্ব চিত্র।

রাতে পুজো কমিটি মন্দির চত্বর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দিয়েছিল তাঁকে। সকালে সেই বৃদ্ধের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হওয়ায় ক্ষোভ ছড়াল বাঁকুড়ায়। আততায়ীকে গ্রেফতারের দাবিতে নিহতের আত্মীয়েরা রবিবার সকাল প্রায় ৬টা থেকে ঘণ্টা চারেক পাতাকোলা শ্মশান সংলগ্ন বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত নাজিবউদ্দিন দালাল (৬৪) বাঁকুড়া শহরের কেঠারডাঙার বাসিন্দা। তিনি নানা জায়গায় নৈশপ্রহরীর কাজ করতেন। নাজিবকে পাতাকোলা শ্মশানঘাট কালীমন্দিরে কয়েকদিনের জন্য নৈশপ্রহরীর দায়িত্বে রাখা হয়। শনিবার রাতেই কাজ যোগ দেন তিনি। তাঁর খুনের পিছনে পেশাগত কোনও কারণ রয়েছে কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গেলে অবরোধকারীরা বাধা দেন। ঘটনাস্থলে যান বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সিদ্ধার্থ দর্জি, ডিএসপি (শৃঙ্খলা ও প্রশিক্ষণ) সুপ্রকাশ দাস, বাঁকুড়া সদর থানার আইসি দেবাশিস পান্ডা প্রমুখ। পুলিশ কর্তারা বিক্ষোভকারীদের অবরোধ তুলতে অনুরোধ করলেও কাজ হয়নি। শেষে পুলিশ লাইন থেকে র‌্যাফ এলে অবরোধ ওঠে।

Advertisement

নিহতের আত্মীয় তথা ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের পুরপ্রতিনিধি শেখ আজিজুর রহমান বলেন, “পুরনো শত্রুতার জেরে খুন না অন্য কারণ রয়েছে বুঝতে পারছি না। পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি দিক।” নিহতের ছোট ছেলে মহিম দালাল অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন।

পুলিশের অনুমান, ভারী কোনও জিনিস দিয়ে নাজিবের মাথায় আঘাত করে খুন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে কিছু রক্তাক্ত কাঠের টুকরো মিলেছে। পুলিশ সেগুলি উদ্ধার করেছে।

জেলা পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, “খুনের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহের ময়না-তদন্ত করা হয়েছে। নিহতের মাথায় আঘাত রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলির এই ঘটনার সঙ্গে যোগ রয়েছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

এ দিকে দীর্ঘক্ষণ অবরোধ চলায় বহু যানবাহন আটকে পড়ে জাতীয় সড়কে। যাত্রিবাহী বাসগুলিকে ঘুরপথে শহরের ভিতর দিয়ে যাতায়াত করানো হয়। ছোট গাড়িও একই ভাবে ঘুরপথে যাতায়াত করেছে। মালবাহী যানবাহনগুলির দীর্ঘ লাইন পড়ে জাতীয় সড়কে। অবরোধ ওঠার পরে যানজট কাটতেও বেশ কিছুক্ষণ সময় লেগে যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement