কেউ এক জন এলাকায় লটারিতে এক কোটি টাকা জিতেছেন। সেই খবর সোমবার রাতে ছড়িয়ে পড়েছিল বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের চণ্ডীপুর গ্রামে। তা পৌঁছেছিল ওই এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সূত্রধরের কানেও। মঙ্গলবার সকালে নম্বর মেলাতে গিয়ে সেই বিশ্বজিৎ দেখলেন, আসলে রাতারাতি কোটিপতি হয়েছেন তিনিই।
বিশ্বজিৎ পেশায় পে লোডার চালক। বর্ষায় তেমন কাজ না থাকায় বাড়িতেই আপাতত বসে তিনি। মাঝেমাঝে লটারির টিকিট কাটতেন বিশ্বজিৎ। সোমবার স্থানীয় হেতিয়া বাজারে আড্ডা দিতে গিয়ে এক টিকিট বিক্রেতার কাছ থেকে লটারি কাটেন তিনি। রাতেই এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়ে হেতিয়া এলাকায় কেউ লটারিতে এক কোটি টাকা জিতেছেন। সোমবার রাতে কথাটা কানে গিয়েছিল বিশ্বজিতেরও। কিন্তু নিজের কেনা লটারির নম্বর মিলিয়ে দেখা হয়নি। মঙ্গলবার সকালে নিজের টিকিটের নম্বর মেলাতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় বিশ্বজিতের। প্রথম পুরস্কার জেতায় তিনিই যে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন তা বিশ্বাসই করতে পারেননি তিনি। প্রাথমিক ঘোর কাটার পর তিনি সটান হাজির হন জয়পুর থানায়।
বিশ্বজিতের কথায়, ‘‘সোমবার রাতেই শুনেছিলাম হেতিয়া এলাকার কেউ এক জন এক কোটি টাকা জিতেছেন লটারিতে। কিন্তু রাতে আর টিকিটের নম্বর মিলিয়ে দেখা হয়নি। আজ সকালে নম্বর মেলাতে গিয়ে দেখি এমন কাণ্ড। পে লোডারের কাজ বন্ধ থাকায় ভিন্রাজ্যে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলাম। এ বার আর কোথাও যাব না। লটারির টাকাটা পেলে এলাকাতেই কোনও ব্যবসা শুরু করব।’’