প্রতীকী ছবি।
নিজের দোকানে ডাকাতি হয়েছে বলে পুলিশকে ডেকেছিলেন তিনি। অভিযোগ লিখে রেখেছিলেন। কিন্তু প্রাথমিক তদন্তেই পুলিশ বুঝতে পারে, পুরোটাই সাজানো গল্প। এই ঘটনায় বুধবার ওন্দার নতুনগ্রাম এলাকার ওই স্বর্ণকারকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই স্বর্ণকার আদতে ছাতনার বাসিন্দা। নতুনগ্রামে তাঁর দোকান রয়েছে। এ দিন সকালে থানায় ফোন করে তিনি দাবি করেন, মঙ্গলবার রাতে তিনি দোকানে ছিলেন না। এ দিন সকালে এসে নাকি দেখেছেন, তালা ভাঙা। চুরি হয়েছে। পুলিশ দোকানে গেলে তিনি দাবি করেন, ৫ কিলোগ্রাম রূপোর গয়না এবং প্রায় ১০ ভরি সোনার গয়না চুরি হয়েছে।
পুলিশ ওই স্বর্ণকারের কথা শুনে তদন্ত শুরু করলেও গোড়াতেই কিছু বিষয়ে সন্দেহ দানা বাঁধে। দোকানের ভিতরেই তল্লাশি চালানো হয়। ঠাকুরের আসনের নীচ থেকে, চটের তলা, দোকানে রাখা জামা কাপড়ের ভাঁজ থেকে এক এক করে গয়নাগুলি বেরিয়ে আসতে শুরু করে। এর পরেই চেপে ধরা হয় ওই ব্যবসায়ীকে। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে পড়ে ওই স্বর্ণকার মেনে নিয়েছেন, ডাকাতির গল্পটি তিনি বানিয়েছিলেন।
কেন এই কাণ্ড ঘটালেন তিনি?
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই স্বর্ণকার সোনা ও রূপোর গয়না বন্ধক রেখে টাকা ধার দিতেন। সম্প্রতি কয়েকজন দেনা মিটিয়ে বন্ধক রাখা গয়না ফেরত চেয়েছিলেন। পুলিশের অনুমান, ডাকাতির গল্প ফেঁদে তাঁদের ধোকা দিতে চেয়েছিলেন ওই স্বর্ণকার। এ দিন সন্ধ্যায় পুলিশ ওই স্বর্ণকারের ছাতনার বাড়িতেও তল্লাশি চালায়। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, আপাতত ওই স্বর্ণকারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।