Coronavirus in West Bengal

রিপোর্ট এল নেগেটিভ, স্বস্তি নানুরের গ্রামে

মুর্শিদাবাদের সালার মধ্য সত্তরের এক ক্যানসার আক্রান্ত বৃদ্ধের রক্ত ও লালারস পরীক্ষার পরে কোভিড-১৯’এ সংক্রমণ স্পষ্ট হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার রাতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

সিউড়ি ও নানুর শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২০ ০১:৫০
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনা পজিটিভ বাবার সংস্পর্শে কাটালেও মেয়ে করোনা পজিটিভ নন। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ স্বাস্থ্য জেলা থেকে পাওয়া এই খবর স্বস্তি আনল বীরভূমে। খবর পেয়েই শুক্রবার সরকারি নিভৃতবাস থেকে নানুরের গ্রামের বাড়িতে ১৫ জনকে ফিরিয়ে দিল প্রশাসন।

Advertisement

মুর্শিদাবাদের সালার মধ্য সত্তরের এক ক্যানসার আক্রান্ত বৃদ্ধের রক্ত ও লালারস পরীক্ষার পরে কোভিড-১৯’এ সংক্রমণ স্পষ্ট হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার রাতে। বাবার সংস্পর্শে থাকা মেয়ে গত বৃহস্পতিবারই নানুরের একটি গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে ফিরেছিলেন। তাতেই ঘুম উড়ে ছিল বীরভূম প্রশাসনের। ওই বধূর সংস্পর্শে আসা শ্বশুরবাড়ির ১১ জন সদস্যসহ মোট ১৫ জনকে নিভৃতবাসে পাঠানো হয়। আতঙ্ক ছড়িয়ে ছিল আশপাশের গ্রামেও। সেই উদ্বেগ থেকে রেহাই মিলেছে।

বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার সিএমওএইচ হিমাদ্রি আড়ি বলেন, ‘‘ভয় ছিল একটাই! ওই বধূ যদি সংক্রামিত হন, তাহলে ওঁর সংস্পর্শে আসা সকলকে নিয়েই চিন্তার ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে মুর্শিদাবাদের স্বাস্থ্য জেলা থেকে খবর আসে নাইসেডে পাঠানো সালারের নিভৃতবাসে থাকা ওই বধূর লালারসের নমুনা করোনা নেগেটিভ। তাই আতঙ্কের কিছু নেই।’’

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৪ এপ্রিল ঠাকুরপুকুর ক্যানসার হাসপাতালে ওই বধূর বাবা ভর্তি হন। পর দিন তাঁর করোনা ধরা পড়ে। স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে দিন পনেরো আগেই সালারে বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন নানুরের ওই বধূ। ১৪ তারিখে ওই দম্পতি বাবার সঙ্গে ঠাকুরপুকুরেই ছিলেন। কিন্তু ১৫ এপ্রিল সকালে এক বেলার জন্য কিছু জিনিসপত্র নিতে শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন। তারপর সালারে ফিরে যান। সে খবর জেনে মুর্শিদাবাদ প্রশাসনের তরফে ওই বৃদ্ধের পরিবার ও আশপাশের লোকজনকে সরকারি কোয়রান্টিন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই তালিকায় ওই বধূও আছেন। সংক্রমণ ছড়ানো রুখতে তৎপর হয় বীরভূম প্রশাসনও। মোট ১৫ জনকে সরকারি নিভৃতবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রামটিকেও বিচ্ছিন্ন করা রাখা হয়েছিল। আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারও বহিরাগত ঠেকাতে বেড়া দিয়েছিলেন প্রবেশপথে।

নানুরের বিডিও অরূপকুমার মণ্ডল এ দিন জানিয়েছেন, নানুরের বধূর রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় সরকারি নিভৃতবাস থেকে ওই ১৫ জনকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বাড়িতে আরও সাত দিন নিভৃতবাসে থাকতে বলা হয়েছে। ঘোষিত নিয়ম মেনে এ বার ওই গ্রামে যাতায়াত করা যাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement