মামুন রশিদ। —নিজস্ব চিত্র।
গত সপ্তাহে কোটা সংস্কার আন্দোলনে উত্তাল ছিল বাংলাদেশ। বিশেষ করে ঢাকা। সেখানেই আটকে ছিলেন মহম্মদবাজার ব্লকের ভাঁড়কাটা পঞ্চায়েতের আলিনগর গ্রামের বাসিন্দা মামুন রশিদ। ঢাকার মীরপুরের মার্কস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তারির চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রশিদ। অবশেষে সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরেছেন তিনি। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে পরিবার।
মামুন জানান, ঢাকা জুড়েই গোলমাল চলছিল। এক দিন রাতে কলেজের সামনে গুলি চলে। তবে কলেজ থেকে কিছুটা দূরে কচুখেত এলাকায় তাঁদের হোস্টেল। সেখানে অবশ্য কোনও সমস্যা হয়নি। ওই মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা আন্দোলনে যোগ দেয়নি বলে এ দিন বাড়ি ফিরে দাবি করেন মামুন।
মামুন বলেন, ‘‘হোস্টেলে ৯৫ জন ছাত্র ছিলেন। হোস্টেল ইনচার্জ সব সময় সঙ্গেই ছিলেন।’’ শনিবার দুপুরে বেরিয়ে পড়েন মামুন। কলেজ থেকে টানা গাড়িতে রাত ১২ নাগাদ দর্শনা পৌঁছন। সেখানে রাতে একটি কমিউনিটি হলে থাকেন। সকালে নদিয়ার গেদে সীমান্তে দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে ট্রেনে মুর্শিদাবাদ হয়ে মহম্মদবাজার আসেন।
তিনি বলেন, ‘‘রাস্তায় যাতে কোথাও অসুবিধা না হয় তার সমস্ত ব্যবস্থা কলেজ করেছিল। সীমান্তেও যাতে সমস্যা না হয় তার ব্যবস্থাও কলেজ করেছিল। গাড়ি ভাড়া পড়েছে ২,২০০ টাকা।’’
মামুনের বাবা বজলুর রহমান বলেন, “চিন্তায় ঘুম আসছিল না। যখন আমরা জানতে পারলাম আমাদের ছেলে বর্ডার পেরিয়ে চলে আসছে, তখন কিছুটা চিন্তা মুক্ত হয়েছিল। যতদিন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হচ্ছে, তত দিন ছেলেকে পাঠাবো না।’’ মামুনও বলেন, ‘‘যতদিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে এবং কলেজ থেকে ডাক আসছে তত দিন এখানেই থাকব।’’