প্রতীকী চিত্র।
পঞ্চায়েতে স্মারকলিপি দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধল বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। তৃণমূলের দাবি, ওই ঘটনায় তাদের ছ’জন তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন। বাঁকুড়া মেডিক্যালে তাঁদের ভর্তি করানো হয়েছে। যদিও বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, তাঁদের কেউ গোলমালে যুক্ত নয়। শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে বড়জোড়ার পখন্নায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন পখন্না গ্রাম পঞ্চায়েতে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচি ছিল বিজেপির। মিছিল করে কয়েকশো বিজেপি কর্মী পখন্না পঞ্চায়েতের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের সামনে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়।
তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির লোকজন সশস্ত্র অবস্থায় ছিল। বিনা প্ররোচনায় তারা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে হামলা চালায়। তৃণমূল সূত্রের খবর, এই ঘটনায় পখন্নার তৃণমূল কর্মী জীতেন ভাণ্ডারি, আদন বন্দ্যোপাধ্যায়, নবকুমার ঘোষ, সেখ কাসেম, রমেশ রুইদাস, ও সমীর ঢাং আহত হন। তাঁদের বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পরে বাঁকুড়া মেডিক্যালে জখম তৃণমূল কর্মীদের দেখতে গিয়েছিলেন দলের বাঁকুড়া সংসদীয় জেলা সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল, বাঁকুড়া জেলা পরিষদের কো-মেন্টর আশুতোষ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। শুভাশিসবাবুর অভিযোগ, “বিজেপি পঞ্চায়েতে স্মারকলিপি দেওয়ার নামে যে অশান্তি ছড়াতে চাইছে, এই ঘটনাই তার প্রমাণ।”
বড়জোড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি অলক মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “ওরা সশস্ত্র অবস্থায় মিছিল করছিল। গণ্ডগোল করার আগাম পরিকল্পনা নিয়েই এসেছিল বিজেপি কর্মীরা। অতর্কিতে আমাদের কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে।”
এ দিকে বিজেপি অবশ্য ওই ঘটনার দায় নিতে নারাজ। বিজেপির বড়জোড়া (৩) মণ্ডল সভাপতি চন্দ্রশেখর চক্রবর্তীর দাবি, “এ দিন বিজেপির তরফে পখন্না পঞ্চায়েতে স্মারকলিপি দেওয়ার কোনও কর্মসূচিই ছিল না। কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বিজেপির দুর্নাম ছড়াতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। দলকে সব জানাব।”
বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি স্বপন ঘোষ বলেন, “বিজেপির নাম করে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি পখন্নায় ঝামেলা পাকিয়েছে বলে শুনেছি। এই ঘটনায় যারা যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি বড়জোড়া পুলিশকে আমি জানিয়েছি।” পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। ঘটনাস্থলে আটক করা পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।