গৌরনগর বাসস্ট্যান্ডের কাছে পড়ে আছে ভাঙা চেয়ার। নিজস্ব চিত্র
সরকারি চেকপোস্ট ভাঙচুরের অভিযোগে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি-সঙ পাঁচ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত এগারোটা নাগাদ মহম্মদবাজার থেকে সাঁইথিয়া যাওয়ার রাস্তায় গৌরনগর বাসস্ট্যান্ডে রাজ্য সরকারের ভূমি সংস্কার এবং উদ্বাস্তু ও পুনর্বাসন দফতরের চেক পোস্টের ঘরটি তাঁরা ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ। বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেন, ‘‘মহম্মদবাজারে একটি ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনায় পাঁচজন গ্রেফতার হয়েছে। কি কারণে এই ঘটনা তার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ভাঙচুরে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সন্তোষ ভান্ডারী, মহেন্দ্র পোদ্দার ও যোগেশ্বর মণ্ডল সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার আদালতে তোলা হলে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
চেকগেটে কর্মরত রোহিতোষ মণ্ডল ও মাখন মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা চেকপোস্টে বসেছিলাম। সেই সময় বিজেপি নেতা সন্তোষ ভান্ডারীর নেতৃত্বে প্রায় কুড়ি জন চড়াও হয়। তারাও সেখানে কাজ করবে বলে আমাদের মারতে শুরু করে। কোনও রকমে পালিয়ে যাই। তারপরেই ভাঙচুর চালায়।’’ বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য দীনবন্ধু কর্মকার বলেন, ‘‘এটা তৃণমূলের চক্রান্ত। গ্রামে সরস্বতী পুজোর বিসর্জন উপলক্ষে খিচুড়ি খাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই ছিলেন আমাদের নেতা-কর্মীরা। ফেরার সময় তাঁরা দেখেন চেকপোস্টে ঝামেলা চলছে। তাঁরা ঝামেলা মেটানোর চেষ্টা করেন। আর তখনই পুলিশ এসে পৌঁছয়। কাউকে না পেয়ে বিজেপির কর্মীদের তুলে নিয়ে যায়।’’ এই বিষয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তাপস সিংহ বলেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোন সম্পর্ক নেই। এ দিন রাতে বিজেপির নেতা ও কর্মীরা নেশাগ্রস্তভাবে গৌরনগরে গিয়ে সরকারি চেকপোস্টটি ভাঙচুর করেন। এখন দোষ ঢাকতে এসব বলছেন।’’