একে অপরকে পছন্দের কোনও বয়স হয় না কি! ঠিক যেমন চাঁদমণি ও অজিত। পুরুলিয়ার সাতুড়ি থানা এলাকার গড়শিকা পঞ্চায়েতের খারবেড় গ্রামের বাসিন্দা ৪৬ বছর বয়সি চাঁদমণি টুডু সাতপাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন বাঁকুড়ার ছাতনার বাসিন্দা অজিত হাঁসদার সঙ্গে। অজিতের বয়স ৫৮। তাই রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধা চেয়ে ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন চাঁদমণি।
যদিও এই বিষয়ে জিজ্ঞেসা করা হলে ব্লকের এক আধিকারিক বলছেন, ‘‘এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ, রূপশ্রী প্রকল্পে আবেদনের সর্বোচ্চ সীমা বলে কিছু নেই। উনি আবেদন করেছেন, আমরা সেটি তদন্ত করে দেখব। যদি যোগ্য হন তা হলে নিশ্চয়ই সুবিধা পাবেন।’’
কী ভাবে হল এই সম্বন্ধ? অজিতের ভাই নারায়ণ হাঁসদা বলেন,‘‘সম্বন্ধ করেই বিয়ে হচ্ছে। দাদার বছর দশেক আগে এক বার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু এখন তাঁরা আলাদা থাকেন। পাত্র-পাত্রী উভয়ে উভয়কে পছন্দ করেছেন।’’ চাঁদমণি অবিবাহিত। এই বিয়েতে চাঁদমণিও খুশি বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ওই ব্লকের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সুশান্ত কেওড়া বলেন, ‘‘এত বয়সে কেউ রূপশ্রীতে আবেদন করেছেন আগে শুনিনি। এটি আমাদের ব্লকে কেন জেলাতেও মনে হয় নজির। সরকারি পরিষেবার সুফলগুলি সম্পর্কে যে সকলেই সচেতন এটা জেনে ভাল লাগছে।’’ জানা গিয়েছে, চলতি ২০ আষাঢ় চার হাত এক হবে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।