ফল প্রকাশের পরে কেটে গিয়েছে তিন দিন। কিন্তু, বন্ধ হল না হানাহানি। শনিবার রাতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য শেখ আখতামের বাড়িতে ভাঙচুর ও তাঁর মেয়েকে মারধরের অভিযোগ উঠল দলের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর লোকজনের বিরুদ্ধে। কাঁকরতলার হরিএকতলা গ্রামের ঘটনা।
আখতামের দাবি, ‘‘নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর থেকেই বিরোধী গোষ্ঠী তো বটেই আমার উপরে রাগ ছিল সিপিএমেরও। গত রাতে অন্তত ২০-২২ জন চড়াও হয় আমাদের বাড়িতে। ভাঙচুরের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের মারধর, লুঠপাট করা হয়।’’ তাঁর দাবি, গোটা ঘটনায় বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর লোকজন এবং সিপিএম যুক্ত। মারধরে আহত হয়ে তাঁর কলেজ ছাত্রী মেয়ে সিউড়ি হাসপাতালে ভর্তি।
ঘটনার পরেই অবশ্য সক্রিয় হয়েছে পুলিশ। আখতামের অভিযোগের ভিত্তিতে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে সিপিএমের পোলিং এজেন্ট তথা গ্রামের বাসিন্দা শেখ সানিকের দুই ছেলে এবং শেখ বদরুদ্দিন ও তাঁর ছেলেকে। দিন কয়েক আগে এই বদরুদ্দিনের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল আখতামের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, সব দিক খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। চলছে অন্য অভিযুক্তদের খোঁজও।
বস্তুত, খয়রাশোলে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল নতুন নয়। নির্বাচনের সময় শীর্ষ নেতৃত্ব কিছুটা ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও নির্বাচনের পরে ওই গ্রামে ঝামেলা লেগেই আছে। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য গোষ্ঠী কোন্দলের কথা মানেনি। অন্য দিকে নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দল ঢাকতে তাঁদের উপরে দায় চাপানো হচ্ছে বলে দাবি করেছে সিপিএমও।