৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে বিপত্তি

দুর্ঘটনায় জখম ৩০

বাসের সঙ্গে ছাই বহনকারী একটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে জখম হলেন প্রায় ৩০ জন বাসযাত্রী। বুধবার সকাল সাতটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে সদাইপুর থানা এলাকার মুড়োমাঠ ও পানুরিয়ার মাঝামাঝি, রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সদাইপুর শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৬ ০৩:১৪
Share:

জখম বাসযাত্রীদের চিকিৎসা চলছে সিউড়ি হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র।

বাসের সঙ্গে ছাই বহনকারী একটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে জখম হলেন প্রায় ৩০ জন বাসযাত্রী। বুধবার সকাল সাতটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে সদাইপুর থানা এলাকার মুড়োমাঠ ও পানুরিয়ার মাঝামাঝি, রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। আহত বাসযাত্রীরা সিউড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালের সুপার শোভন দে জানিয়েছেন, পুরুষ-মহিলা, শিশুমিলিয়ে মোট ৩৬ জন আহতযাত্রী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে জখম প্রত্যেকের অবস্থা স্থিতিশীল।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খয়রাশোলের বিনুইঘাট থেকে সিউড়ি রুটের ওই বাসটি সকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ সিউড়ি যাচ্ছিল। বাসে অনেক যাত্রী ছিলেন। জাতীয় সড়কে সড়ক ধরে সিউড়ি পৌঁছানোর আগেই, সদাইপুর থানা এলাকার ওই জায়গায় বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ছাই নিতে আসা একটি ক্যাপসুল কন্টেনারের সঙ্গে বাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। ধাক্কার চোটে বাসের সামনে চালকের দিকের অংশটি যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাতেই আহত হন যাত্রীরা। খবর পেয়ে প্রথমে স্থানীয় মানুষ ও পরে পুলিশ এসে আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে সিউড়ি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। আহতদের মধ্যে খয়রাশোলের বাসিন্দাই বেশি ছিলেন। হজরতপুর থেকে সিউড়ি আসার পথে জখম হয়েছেন দিলীপ দাঁ।

মেয়ে রিঙ্কু মণ্ডলকে শ্বশুরবাড়ি পৌঁছতে খয়রাশোলের ভেলেনি থেকে সাঁইথিয়া যাওয়ার জন্য ওই বাসে চড়েছিলেন মানকুমারী মণ্ডল। মা-মেয়ে উভয়েই আহত হয়েছেন। জানালেন, কী ভাবে যে কী হয়ে গেল কিছুই বুঝতে পারলাম না। হঠাৎ প্রচণ্ড জোড়ে ধাক্কায় সবাই এ ওর ঘাড়ে ছিটকে পড়লাম। দোষটা সম্ভবত বাস চালকের। দুবরাজপুরের কুখুটিয়া থেকে সিউড়িতে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পথে আহত আলিয়া বিবি ও মহুলার থেকে সিউড়িতে বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে আহত সম্পদ ঘোষেরাও একই কথা বলছেন। হাসপাতাল সূত্রের খবর, আহতের সংখ্যা বেশি হলেও মারাত্মক আঘাত কেউ পাননি। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর ক্যাপসুলের চালক খালাসি পলাতক। বাসের চালক আহত হয়ে চিকিৎসাধীন। তবে দুটি গাড়িকেই আটক করছে পুলিশ।

Advertisement

নলকূপ সারানোর দাবি। শহরের পরিধি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে জনসংখ্যা। প্রয়োজন মোতাবেক বাসিন্দাদের পানীয় জলের যোগান নেই বলে আগেই বার কয়েক অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে। ইন্দো-জার্মান জল প্রকল্পের জল সরবরাহে মকরমপুরে স্বাভাবিক করার দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা। শুধু টাইমকলের জল যোগান নয়, এলাকায় এলাকায় অকেজ অবস্থায় থাকা নলকূপের মেরামতের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পানীয় জলের যোগানে সমস্যা থাকায় জায়গাগুলিতে পুরসভার গাড়ি করে জল সরবরাহ করা হচ্ছে বাসিন্দাদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement