বোমা ফেটে জখম

বাড়ির মধ্যেই বোমা ফেটে জখম হলেন দুই যুবক। বুধবার সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ সাঁইথিয়া থানার হরপলশা গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানায়, আহতেরা হলেন আসরাফ শেখ এবং আলম শেখ। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছনোর আগেই আলম নিয়ে অন্য সঙ্গীরা চম্পট দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৬ ০১:১৩
Share:

জখম আসরাফের বাড়িতে তদন্তে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র

বাড়ির মধ্যেই বোমা ফেটে জখম হলেন দুই যুবক।

Advertisement

বুধবার সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ সাঁইথিয়া থানার হরপলশা গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানায়, আহতেরা হলেন আসরাফ শেখ এবং আলম শেখ। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছনোর আগেই আলম নিয়ে অন্য সঙ্গীরা চম্পট দেয়। রাত ৯টা নাগাদ পুলিশ আসরাফকে উদ্ধার করে সাঁইথিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। পুলিশের দাবি, আহত আলমের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের অদূরেই এক পুকুরপাড়ে আসরাফের বাড়ি। অন্য পাড়ে আলমের। এলাকায় প্রথম জন কংগ্রেস এবং দ্বিতীয় জন তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত। যদিও দু’জনের মধ্যে যথেষ্ট মেলামেশা ছিল বলে স্থানীয়দের দাবি। অভিযোগ, ঘটনার দিন সন্ধেয় আসরাফের টিনের ছাউনি দেওয়া মাটির ঘরের দোতলায় দু’জনে বসে বোমা বাঁধছিল বলে অভিযোগ। নীচে সিঁড়ির বাঁ দিকের ঘরে শুয়ে ছিলেন আসরাফের মা। আর ডান দিকের ঘরে স্ত্রী। যে ঘরে স্ত্রী শুয়ে ছিলেন, সেই ঘরের উপরেই বোমা বাঁধার কাজ চলছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। আসরাফের স্ত্রী নাসরিন বিবির দাবি, ‘‘আমি বাচ্চাদের নিয়ে নীচের ঘরে ঘুমিয়েছিলাম। উপরের ঘরে প্রচণ্ড শব্দ হয়। ঘুম ভেঙে যায়। দেখি চার দিকে ধোঁয়া।’’ এ দিকে আলমের পরিবারের দাবি, ওই ঘটনা সম্পর্কে তাঁরা কিছু জানেন না। যদিও গ্রামে পুলিশ আসার খবর পেয়েই তাঁরা সকলে চম্পট দেন।

Advertisement

গ্রামেরই বাসিন্দা, আসরাফের পিসির ছেলে জার্মান শেখের দাবি, আসরাফ কংগ্রেসের সমর্থক। ঝালমুড়ি বিক্রি করে সংসার চালান। আসরাফকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। যদিও কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি রথীন সেনের দাবি, ‘‘ওই যুবক কখনও কংগ্রেস তো কখনও তৃণমূল। তবে, বোমা ফাটার ঘটনায় দল কোনও ভাবেই যুক্ত নয়।’’ অপর আহত যুবক শাসকদলের লোক বলেও তিনি দাবি করেন। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, বছর দেড়েক আগে মহম্মদবাজার এলাকার একটি পেট্রোল পাম্পে ডাকাতির ঘটনায় রাজা অন্যতম অভিযুক্ত। বর্তমানে সে জামিনে ছিল। চিকিৎসাধীন আসরাফের উপরে পুলিশ নজর রেখেছে। ঘটনার সঙ্গে আর কেউ যুক্ত আছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement