ডাকবাংলোপাড়ায় রামপুরহাট হাইস্কুলের গোটা ভবনটিই মণ্ডপের আকারে তৈরি করা হচ্ছে। —নিজস্ব চিত্র।
ফের থিমের চমক রামপুরহাটের ডাকবাংলোপাড়ার কালীপুজোয়! চলতি বছর রাজ্যের সেরা স্কুলের শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছে রামপুরহাট হাইস্কুল। এ শহরের কালীপুজোর থিমেও জায়গা করে নিয়ে ১৩৬ বছরের পুরনো এই স্কুল। ডাকবাংলোপাড়া প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের কালীপুজোর মণ্ডপ গড়া হচ্ছে এই ঐতিহ্যবাহী স্কুলের আদলে। থিমের চমকে নজর কাড়তে কসুর করছেন না এই পুজো কমিটির সদস্যরা।
ডাকবাংলোপাড়ায় এই কালীপুজোর এ বার ৫৩তম বছর। জেলার অন্যতম বড় পুজোগুলির মধ্যে এখানকার থিমেও বরাবরই চমক থাকে। কখনও বাহুবলী সিনেমার মহেশমতীর সাম্রাজ্য, কখনও বা মায়াপুরের ইস্কন মন্দির— বার বার তা নজর কেড়ে নেয়। এ বার অবশ্য শহরের স্কুলের প্রাচীন স্কুলকেই পুজোর মণ্ডপ হিসাবে গড়ে তুলছে প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। মূলত রাজ্যসেরা স্কুলের প্রতি সম্মান জানাতেই এ আয়োজন বলে দাবি উদ্যোক্তাদের। রামপুরহাট পুরসভার সদস্য আব্বাস হোসেন বলেন, ‘‘এই স্কুল থেকে পড়াশোনা করে বিধায়ক, কাউন্সিলর এমনকি ডেপুটি স্পিকারও হয়েছেন। এ বার এই স্কুলের মাঠে আমরা পুজো করার অনুমতি পেয়েছি।’’
জোরকদমে চলছে মণ্ডপসজ্জার কাজ। —নিজস্ব চিত্র।
হাইস্কুলের গোটা ভবনটিই মণ্ডপের আকারে তৈরি করা হবে। বাজেট প্রায় ২২ লক্ষ টাকা। স্কুল চত্বরের ভিতরে এ পুজোয় কালীর প্রতিমা গড়া হচেছ কালো কলাই দিয়ে। মণ্ডপে থাকবে চন্দননগরের বিখ্যাত আলোকসজ্জা। মণ্ডপ তৈরির কাজে রয়েছেন স্কুলেরই প্রাক্তন ছাত্র সন্দীপ মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘প্রায় ১৫ দিন ধরে মণ্ডপের কাজ হচ্ছে। আশা করি, আগামী দু’তিন দিনের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। মণ্ডপ তৈরিতে প্রতি দিন সকাল-সন্ধ্যে গ়ড়ে ৫০ জন মিস্ত্রি রয়েছেন।’’
মণ্ডপের ভিড়ের জন্য শহরে যাতে করোনার সংক্রমণ না বাড়ে, সে দিকেও লক্ষ্য রাখা হবে বলে জানিয়েছেন আব্বাস। তাঁর কথায়, ‘‘পুজোর সময় রাজ্য সরকারের কোভিডবিধি মেনে চলা হবে। সকলকে অনুরোধ, মাস্ক পরে মণ্ডপে আসবেন।’’