ওই বৃদ্ধের বাড়িতে গিয়ে রামপুরহাট ২ ব্লকের বিডিও রাজীব পোদ্দার, যুগ্ম বিডিও প্রশান্ত সোনার ওই বৃদ্ধের হাতে ফুলের তোড়া ও মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন। নিজস্ব চিত্র
নির্বাচন কমিশনের বার্তা বলছে প্রত্যেক ভোটারকে হয়ে উঠতে হবে ওয়াকিবহাল, সুরক্ষিত, সক্ষম এবং সজাগ। সোমবার ১১তম জাতীয় ভোটার দিবসে সে কথাই স্মরণ করালেন বীরভূমের জেলাশাসক বিজয় ভারতী। এ দিন সকালে জেলাশাসকের কার্যালয় চত্বরে পালিত হয় জাতীয় ভোটার দিবস। সেই অনুষ্ঠান থেকে নতুন ভোটারদের উদ্দেশ্যে জেলাশাসকের বার্তা, ‘‘ভোটের কার্ড ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য। আবাসিক প্রমাণপত্র হিসাবে ব্যবহারের জন্য নয়। সেই কথাটা যেন মনে রাখি। তার জন্য দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা প্রয়োজন।’’
এ দিন সিউড়িতে জেলাশাসকের কার্যালয় চত্বরে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিন অতিরিক্ত জেলাশাসক, মহকুমাশাসক, ওসি ইলেকশন একাধিক বিডিও সহ জেলা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সকলেই। অনুষ্ঠানের সূচনা হয় শপথ পাঠ দিয়ে। ছিল ভোটারদের সচেতন করতে বাউল গান। এরপর কয়েকজন নতুন ভোটারের হাতে ভোটার কার্ড তুলে দেওয়া হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ।তাঁদের মধ্যে এক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছাত্রী ছিলেন। সংশোধিত এবং নির্ভুল তালিকা তৈরি করতে জেলার যে সব আধিকারিক ও বুথস্তরের অফিসার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছেন তাঁদের কয়েকজনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের মধ্যে ভোট নিয়ে সচেতনতার জন্য পোস্টার আঁকা প্রতিযোগিতায় সফলদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। সংবর্ধিত করা হয় স্পেশ্যাল অলিম্পিকে সফল পাঁচ তরুণ প্রতিযোগীকেও।
সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তরুণ ভোটারদের উদ্দেশ্যে জেলাশাসক বার্তা দেন, সঠিক সরকার কীভাবে গঠন হবে, কে করবে, সেই ক্ষমতা রয়েছে ভোটারদের হাতেই। কী ভাবে সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে তার গুরুত্ব বোঝার জন্যই এই দিনটি। তাঁর কথায়, ‘‘আপনারা যাঁরা কার্ড পেলেন তাঁদের গর্বিত হওয়া উচিত। এটা এই জন্য নয়, যে যে আপনি আঠারো ছুঁয়েছেন। বরং সচেতন নাগরিক হওয়ার দায়িত্ব আপনার কাঁধে চাপল।’’
প্রশাসন জানিয়েছে, এ দিন প্রতীকী ভোটার কার্ড বিলি হয়েছে। বাকি কার্ড বিলি হতে দিন পনেরো সময় লাগবে। তবে এ বার আধারের মতো ভোটার কার্ডও ডিজিটাল হচ্ছে বলে ঘোষণা করেছে কমিশন। এ বারে যাঁরা কার্ড পাচ্ছেন তাঁদের কার্ডের ধরন আলাদা। অতিরিক্ত জেলাশাসক (নির্বাচন) সব্যসাচী সরকার জানান, কার্ড পাওয়ার আগে নির্দিষ্ট সাইটে গিয়ে নথিবদ্ধ মোবাইল ব্যবহার করে (আবেদনের সময় যে নম্বর দেওয়া হয়েছিল) সেই ই-কার্ড ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে।