নিজস্ব চিত্র।
পূর্ণিমার কোটালের জেরে শনিবার ফের জলস্ফীতির আশঙ্কা রয়েছে সুন্দরবন ও উপকূল এলাকায়। ইতিমধ্যেই নবান্ন থেকে এ বিষয়ে সতর্কতা জারি করে জেলা প্রশাসনকে সব ধরনের পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকেই উপকূল এলাকায় মাইকিং শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মেনে সাগর ব্লকের ভাঙন কবলিত ঘোড়ামারা দ্বীপ থেকে ৫০০ মানুষকে সরিয়ে আনা হয়েছে মূল ভূখন্ডে। এছাড়াও নামখানা ব্লকের মৌসুনি দ্বীপ এবং উপকূল এলাকা থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে সরানো হয়েছে। প্রয়োজনে পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘি, গোসাবা ও পাথরপ্রতিমার নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদেরও সরানো হবে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
ভাঙন কবলিত এলাকা এবং বাঁধের কাজ খতিয়ে দেখতে শুক্রবার সকালেই উপকূল এলাকায় যান সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। সঙ্গে ছিলেন সাগরের বিডিও, এসডিপিও সহ সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা। তিনি বলেন, ‘‘ইয়াসের পর অধিকাংশ বাঁধই মেরামত করা হয়েছে। দু’একটি জায়গায় এখনও কাজ চলছে। তবে নদী ও সমুদ্রে জলস্তর বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও বাঁধ ভাঙার সম্ভাবনা নেই। তবুও সব ধরনের ব্যবস্থাপনা নিয়ে রাখা হয়েছে।’’
ইয়াসের পর যে সব জায়গায় নদী ও সমুদ্র বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল, সেগুলি মেরামত করতে শুরু করেছিল সেচ দফতর। নামখানা, সাগর, পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘি, গোসাবা এবং কুলতলি ব্লকের ভাঙন এলাকাগুলির উপর বিশেষ নজর রেখেছিল জেলা প্রশাসন। জোরকদমে কাজ এগোলেও জলস্ফীতির জেরে বাঁধ উপচে জল ঢুকে ফের নতুন করে সমস্যা তৈরি করতে পারে সুন্দরবনে। তাই আগেভাগেই উপকূল ও নদী তীরবর্তী এলাকার ত্রাণ শিবির প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে দুর্গতদের জন্য থাকা খাওয়ারও বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রতিটি মহকুমায় নাগরিক প্রতিরক্ষা দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শনিবার জেলা সদর আলিপুরের কন্ট্রোল রুম থেকেই পরিস্থিতির উপর নজর রাখবে জেলা প্রশাসন।