ধর্মতলায় যুব কংগ্রেসের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ ও আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার কেলেঙ্কারি নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবিতে কলকাতায় বিক্ষোভ দেখল যুব কংগ্রেস ও ছাত্র পরিষদ। কংগ্রেসের জোড়া কর্মসূচি ঘিরে শনিবার উত্তেজনা ছড়াল ধর্মতলা চত্বরে। যদিও বিজেপি কংগ্রেসকে বাংলায় তাদের রাজনৈতিক শক্তির কথা মনে করিয়ে খোঁচা দিয়েছে।
এ দিন ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে থেকে মিছিল করে ধর্মতলায় আসেন যুব কংগ্রেস কর্মীরা। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল পোড়ানো হয়। নেতৃত্বে ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি আহাজার মল্লিক, আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচী প্রমুখ। রাস্তায় বসে যুব কংগ্রেস কর্মীরা বিক্ষোভ দেখলে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। যুব কংগ্রেসের বক্তব্য, নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখানোয় এ রাজ্যের পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে।
রাজভবনের সামনে ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
এ দিকে সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সৌরভ প্রসাদের নেতৃত্বে রাজভবনের সামনে ছাত্র পরিষদ কর্মীরা প্ল্যাকার্ড হাতে কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভ সরাতে পুলিশ জনা ৪০ কর্মীকে গ্রেফতার করে।
এই ঘটনাকে সামনে রেখে আজ, রবিবার এআইসিসি সব রাজ্যে অবস্থান সত্যাগ্রহের ডাক দিয়েছে। কলকাতায় ময়দান চত্বরে সেই অবস্থান হবে। এই নিয়ে রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “এই রাজ্যে কংগ্রেসের শক্তি কতটা সবাই জানে। কিন্তু একটা রাজনৈতিক দল যতই দুর্বল হোক তাদের আন্দোলন করার অধিকার আছে।”