— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মেধা তালিকা বেরিয়ে গিয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের পুলিশি যাচাই এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষাও হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত মাত্র ১৮৭ জনের নিয়োগ হয়েছে। তাই মেধা তালিকায় থাকা সকলের, অর্থাৎ, ২৯৩১ জনের দ্রুত নিয়োগের দাবিতে সল্টলেকের নারী ও শিশু বিকাশ এবং সমাজকল্যাণ দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন আইসিডিএস-এর সুপারভাইজ়ার পদের চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিশ তাঁদের ধাক্কা দিয়ে বার করে দেওয়ার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ।
ওই চাকরিপ্রার্থীদের এক জন, মালদহের প্রীতিলতা হেমব্রম। ক্যানসারে আক্রান্ত প্রীতিলতা বলেন, ‘‘চিকিৎসা করাতে মুম্বই যাই। ওষুধের অনেক খরচ। চাকরিতে যোগ দিতে পারলে সুবিধা হত, রোগের সঙ্গে লড়াই করার মনের জোরটাও ফিরত। আমাদের নিয়োগ নিয়ে তো মামলা নেই। তবু কেন দেরি হচ্ছে?’’ অন্য এক চাকরিপ্রার্থী কৃষ্টি মজুমদার জানান, ২০১৯ সালে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি বেরোয়। পরীক্ষা হয় ২০২০-র ডিসেম্বরে। ২০২২ সালে ফল বেরোয় এবং পার্সোনালিটি টেস্ট হয়। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ২৯৩১ জনের মেধা তালিকা বেরোয়। প্রায় সব চাকরিপ্রার্থীর পুলিশি যাচাই এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে গত অগস্টে। ওই মাসেই ১৩৬ জনের নিয়োগের তালিকা বেরোয়। ১৯ জানুয়ারি ফের ৫১ জনের নিয়োগের নাম বেরোয়। কৃষ্টির অভিযোগ, ‘‘পুলিশ ভেরিফিকেশন এবং মেডিক্যাল হয়ে গিয়েছে। তা হলে কেন সবার নিয়োগ হচ্ছে না? এ ভাবে তো সবার নিয়োগ হতে পাঁচ বছর লেগে যাবে। এ দিকে বয়স বেড়ে যাচ্ছে।’’
এ দিকে, মেধা তালিকায় নাম উঠেছে দেখে অনেক চাকরিপ্রার্থীই যে কাজ করছিলেন, সেটি ছেড়ে দিয়েছেন। এখন অর্থকষ্টে ভুগছেন তাঁরা। নিয়োগ প্রসঙ্গে নারী ও শিশু বিকাশ এবং সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজাকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। তাঁর ফোন অন্য এক জন ধরে বলেন, ‘‘উনি কম্বল বিতরণ করা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। আজ পরপর কর্মসূচি রয়েছে।’’