মনুয়া মজুমদার
বারাসতের অনুপম সিংহ হত্যা মামলার শুনানির একেবারে শেষ পর্যায়ে আচমকা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারি আইনজীবীকে। কেন তাঁকে সরানো হল, এই প্রশ্ন তুলে এ বার ক্ষোভ পৌঁছল আদালতের দরজায়। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি ছিল বারাসতে জেলা আদালতে। সেখানেই প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান অনুপমের আত্মীয়-পরিচিত এবং এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, অপসারিত সরকারি আইনজীবীকে ফেরানো হোক।
অনুপম হত্যা মামলার সরকারি আইনজীবী বিপ্লব রায়কে গত ২৬ মার্চ আচমকাই সরিয়ে দেওয়া হয়। শুধু এই মামলা নয়, তাঁকে বাদ দেওয়া হয় সরকারি আইনজীবীদের প্যানেল থেকেও। তার পর থেকেই অনুপমের মা কল্পনারানি সিংহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বিপ্লববাবুকে ফেরানোর আবেদন জানিয়ে আসছেন। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি।
এ দিন মামলার শুনানিতে তদন্তকারী অফিসারের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছো। আজ, বুধবার ৩১৩ ধারা অনুযায়ী অভিযুক্ত মনুয়া মজুমদার এবং তার প্রেমিক অজিত রায়কে জেরা-পর্ব শুরু হবে। এই অবস্থায় কল্পনাদেবী অভিযোগ করেন, এত দিনের সরকারি আইনজীবীকে হঠাৎ সরিয়ে অভিযুক্তদেরই সুবিধা করে দেওয়া হল।
এ দিন আদালত শুরুর আগেই প্ল্যাকার্ড হাতে সেখানে হাজির হয়ে যান অনুপমের আত্মীয় এবং পরিচিতেরা। আদালত চত্বরের মধ্যেই বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। পুলিশ কোনও রকমে তাঁদের নিরস্ত করে। অনুপমের আত্মীয় ও পরিচিতেরা যাতে কোনও ভাবে এজলাসে ঢুকে পড়তে না পারেন, সে জন্য এজলাসের দরজায় কড়া প্রহরা বসানো হয়। এ দিন শ্যামল দত্ত নামে এক আইনজীবীকে এই মামলার নতুন সরকারি আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
২০১৭ সালের ৩ মে নিজের বাড়িতে খুন হন অনুপম। তদন্তে জানা যায়, প্রেমিক অজিতকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুনের ছক কষেছিল মনুয়া। তার স্বপক্ষে আদালতে একাধিক প্রমাণও দাখিল করেছে পুলিশ।