যুব মোর্চার মিছিল চিত্তরঞ্জন আভিনিউয়ে। ছবি পিটিআই।
রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি, বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’-সহ কয়েকটি অভিযোগকে সামনে রেখে বুধবার দলের যুব মোর্চার মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল চিত্তরঞ্জন আভিনিউয়ে। মুরলীধর সেন লেনে রাজ্য বিজেপির সদর দফতর থেকে মেয়ো রোডের গাঁধী মূর্তি পর্যন্ত ওই মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শুরুতেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। পাল্টা পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন যুব মোর্চার কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি ও বচসা হয়। পুলিশ জানায়, ৮০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে তাঁদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।
অভিনেত্রী তথা যুব বিজেপির সাংস্কৃতিক বিভাগের আহ্বায়ক কাঞ্চনা মৈত্রের অভিযোগ, বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশ তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছে। পুলিশের হেনস্থার জেরে তাঁর পোশাক ছিঁড়ে গিয়েছে। শ্বাসকষ্টও শুরু হয়েছিল তাঁর। কাঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে কিছু বলতে চাননি কোনও পুলিশ-কর্তাই। তবে মিছিল আটকানো নিয়ে পুলিশের বক্তব্য, এ দিন ওই কর্মসূচির সময়েই ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ ছিল। তা নিয়ে দু’পক্ষ যাতে সম্মুখ সমরে জড়িয়ে না পড়ে, তাই বিজেপির যুব মোর্চাকে মিছিল করতে দেওয়া হয়নি।
যুব মোর্চার বিক্ষোভে গ্রেফতার হন সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দাস, অভিনেত্রী তথা সংগঠনের সম্পাদক রিমঝিম মিত্র, প্রাক্তন ফুটবলার তথা বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে-সহ অনেকে। তাঁদের মুক্তির দাবিতে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের উপরে কিছু ক্ষণ অবস্থান করেন বাকি বিক্ষোভকারীরা। যুব মোর্চার রাজ্য সহ-সভাপতি শঙ্কুদেব পাণ্ডা সেখানে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি তোলেন। ওই মিছিল এবং বিক্ষোভের জন্য শহরে ব্যাপক যানজট হয়।