প্রতীকী ছবি।
অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো জেলেও আছেন মহিলা কর্মীরা। কিন্তু তাঁদের জন্য কোনও কোনও জেলে অভাব রয়েছে সাজঘরের। এ বার সেটা পূরণ করতে চলেছে কারা দফতর।
রাজ্যে কেন্দ্রীয়, জেলা, মহকুমা, স্পেশ্যাল, মুক্ত এবং মহিলা— সব মিলিয়ে ৬০টি জেল রয়েছে। তার মধ্যে সেন্ট্রাল, স্পেশ্যাল, জেলা, মহকুমা জেলে মহিলা কর্মীদের জন্য সাজঘর তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারা দফতর। ওই সব জেলের কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে প্রস্তাব পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে তারা। সাজঘর গড়তে হবে জেল-চত্বরের মধ্যেই। তার সঙ্গে তৈরি করতে হবে একটি শৌচালয়ও।
কারা দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যের কয়েকটি সেন্ট্রাল জেলে মহিলাদের জন্য সাজঘর ও শৌচালয়ের যথাযথ ব্যবস্থা রয়েছে। এক কারাকর্তা বলেন, ‘‘এটা ঠিক যে, জেলা বা মহকুমা জেলগুলিতে মহিলাদের সাজঘরের সমস্যা রয়েছে। এ বার তারই সমাধানের কথা ভাবা হচ্ছে।’’
জেলের পুরুষ কর্মীরা ব্যারাকে পোশাক বদল করে কাজে আসেন। সেন্ট্রাল জেলগুলিতে মহিলা কর্মীরা জেল থেকে কয়েক মিনিটের দূরত্বে থাকা ব্যারাকেই পোশাক পরিবর্তন করে ডিউটিতে আসেন। কিন্তু ব্যারাকের সুবিধা রাজ্যের সব জেলে নেই। এ বার জেল সংলগ্ন সাজঘরেই তাঁরা পোশাক পরিবর্তন করে ডিউটিতে যোগ দিতে পারবেন। তার জন্য জেল-কর্তৃপক্ষের তরফে কয়েক দিনের মধ্যেই ভবন তৈরির প্রস্তাব কারা দফতরে জমা দেওয়ার কথা।
কারা দফতরে সম্প্রতি কল্যাণ পর্ষদ গড়া হয়েছে। সেখানে কারা দফতরের পদস্থ কর্তা ও কর্মীরা রয়েছেন। কর্মীদের অভাব-অভিযোগ শুনে ব্যবস্থা নেবে সেই পর্ষদ। ২৬ ডিসেম্বর পর্ষদের প্রথম বৈঠকেই মহিলা কর্মীদের সাজঘর তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেল সুপারদের চিঠি দিয়ে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলের কোনও পুরনো ঘর মেরামত করে সাজঘরের সঙ্গেই শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা যায় কি না, পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে সেই বিষয়ে আলোচনা করে প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছে জেলকর্তাদের।
সাজঘরের জন্য মহিলা কর্মীদের দাবি দীর্ঘদিনের। সেটাই এত দিনে মান্যতা পেল বলে কর্মীদের অভিমত।