Price Hike

আনাজের দরে ছেঁকা, রোদ দরকার চাষিদের

শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের বাজারে কাঁচা লঙ্কা বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকা কেজি দরে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৫:০৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

শুধু কাঁচা লঙ্কা বা পেঁয়াজ নয়, সব আনাজে চড়া দামের ঝাঁঝ টের পাচ্ছেন মধ্যবিত্ত। উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গে সে দাম বাড়ার জন্য চাষিরা দুষছেন বৃষ্টিকে। কয়েকটি জেলায় অভিযোগের আঙুল উঠছে রাজ্যের তরফে নজরদারির ‘অভাবের’ দিকে। ফড়েদের দিকে। জলদি চাষের কপি-বিট-গাজর বাজারে আসতে অক্টোবরের মাঝামাঝি। কৃষি বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এই অবস্থায় ‘সুখবর’ আনতে পারে মেঘমুক্ত আকাশ এবং পর্যাপ্ত রোদ।

Advertisement

শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের বাজারে কাঁচা লঙ্কা বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকা কেজি দরে। মালদহ ও দুই দিনাজপুরে পটল, ঝিঙে, মুলো—সবেরই দর ৫০ টাকা কেজি বা তারও বেশি। চাষিদের দাবি, বৃষ্টিতে জমিতে জল দাঁড়ানোয় সমস্যা বেড়েছে। আবার ক্রেতাদের একাংশের অভিযোগ, দাম নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা নিতে পারত সরকারি টাস্ক ফোর্স। কিন্তু বাজারে তাদের দেখা মিলছে না। দিনহাটা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রানা গোস্বামীও বলেন, ‘‘পাইকারির সঙ্গে খুচরো বাজারে আনাজের দামের ফারাক অনেক। প্রশাসনের দেখা উচিত।’’

একই ধরনের কথা শোনা গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। সেখানে পটল ৫৫- ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, উচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। প্রশাসন সূত্রের দাবি, বাজারে যে দামে আনাজ বিকোচ্ছে ফড়েদের দৌলতে তার থেকে কেজিতে আট-দশ টাকা কম পাচ্ছেন চাষিরা। কৃষকসভার বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক যদুনাথ রায়ের অভিযোগ, “চাষিরা লাভ পাচ্ছেন না, ফড়েরা মুনাফা লুটছে।’’ তবে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের দাবি, ‘‘নতুন কৃষি বিলের মাধ্যমে ফড়ে-রাজের অবলুপ্তি হবে।’’

Advertisement

ওল, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, টোম্যাটো ৬০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমানে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রায় সব বাজারে আনাজের দাম আকাশছোঁয়া। পূর্ব বর্ধমানে সবচেয়ে বেশি আনাজ হয় কালনায়। আড়তদারদের দাবি, অন্য বার এ সময়ে আনাজের যা জোগান থাকে এ বার তা অর্ধেকেরও কম। কেন?

চাষিদের দাবি, ঘূর্ণিঝড় আমপানের পরে, লাগাতার বৃষ্টিতে জমিতে জল জমে ক্ষতি হয়েছে। রোগপোকার হামলাও দেখা দিয়েছে।

কবে স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি? রাজ্য প্রশাসনের তরফে আনাজের দামের উপরে নিয়মিত নজরদারি চলছে এবং চলবে বলে জানানো হয়েছে। হুগলি, পূর্ব বর্ধমানের
চাষিরা জানিয়েছেন, অক্টোবরে জলদি-চাষের ফসল বাজারে আসবে। পূর্ব বর্ধমানের অন্যতম সহ কৃষি অধিকর্তা পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘ভাল আনাজ উৎপাদনে দরকার ঝলমলে আকাশ। জমিতে জল জমা বন্ধ হলেই বাড়বে আনাজের জোগান।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement