শুভেন্দু অধিকারী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ইয়াস বিপর্যয় নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত না থাকা নিয়ে বিতর্ক চলছে। এরই মধ্যে সাংবাদিক বৈঠক করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, কলাইকুন্ডার বৈঠকে হাজির ছিলেন তিনি।
ভোটের পর থেকে বিজেপি কর্মীদের উপরে আক্রমণ চলছে। ভোটারদের উপরেও অত্যাচার চালানো হচ্ছে।
আজই ডায়মন্ড হারবারে একটি বুথ এলাকার বিজেপি সভাপতিকে খুন করা হয়েছে। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এটা করেছে। পুলিশ নিষ্ক্রিয়। এ নিয়ে ৩৬ জন বিজেপি কর্মী, সমর্থকের ভোট পরবর্তী সময়ে মৃত্যু হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ঘিরে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছিল। ওড়িশার বালাসোরে বেশি ক্ষতি হলেও এই রাজ্যের দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে অনেক ক্ষতি হয়েছে। অনেক বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। মানুষের অর্থকরী ক্ষতিও হয়েছে। বিশেষ করে কৃষক ও মৎস্যজীবীদের ক্ষতি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্যোগের পরে বাংলায় এসেছেন। আকাশ পথে পরিদর্শনের সঙ্গে সঙ্গে কলাইকুন্ডায় একটি পর্যালোচনা বৈঠক করতে চেয়েছিলেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে কী ভাবে মানুষের সুবিধা করা যায় তার পরিকল্পনা করতে তিনি এসেছিলেন। ২০১৯ সালে ফণী ঘূর্ণিঝড়ের পরে এবং ২০২০ সালে আমপানের পরেও বসিরহাটে আসেন। প্রথমে ১০ হাজার ও পরে ২,৭৫০ কোটি টাকা সাহায্য করেছিলেন।
বৈঠকে যে ভাবে প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে তার প্রতিবাদ করার মতো কোনও ভাষা নেই।
দিঘার বৈঠকের কথা বলে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক এড়িয়েছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী।
বিরোধী দলনেতাকে ডাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজনীতি করা হচ্ছে। ওড়িশাতেও বিরোধী দলনেতাকে বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। এই রাজ্যেও বৈঠকে ডাক পেয়েছিলেন সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। ব্যস্ততা থাকায় তিনি আসতে পারেননি।
প্রধানমন্ত্রীকে অনেক বার অপমান করেছেন মমতা। গঙ্গা সংস্কার থেকে কোভিড মোকাবিলার বৈঠকে গরহাজির থেকেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করার পরে মুখ্যমন্ত্রী আসছেন কিনা জানতে আধিকারিকদের বলেন। উনি অনেক পরে এলেন। আমরা সবাই উঠে দাঁড়ালাম। উনি কিছু কাগজপত্র দিয়ে চলে গেলেন। আর তাতে সঙ্গ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। হয়তো বাধ্য হয়েই দিয়েছেন।
নন্দীগ্রামে হেরেছেন বলেই আমায় বিরোধী দলনেতা হিসেবে মানতে চান না মাননীয়। একজন অনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী মানুষের ভোটে নির্বাচিত বিরোধী দলনেতাকে অস্বীকার করতে পারেন না।
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাঙালি হিসেবে দেখানো হচ্ছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর জন্য শুক্রবার বাংলার লজ্জার কারণ তৈরি হয়েছে গোটা দেশের কাছে।
এই রাজ্যের আমলরা অসহায় অবস্থায় কাজ করছেন। আপনি যে ভাবে প্রশাসনকে চালাচ্ছেন সেটা ঠিক নয়।
ফিস ফ্রাই খাইয়ে বিরোধীদের ম্যানেজ করেছেন আগে কিন্তু আমাদের সেটা করা যাবে না।