প্রেসিডেন্সিতে উত্তেজনা। নিজস্ব চিত্র।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে থাকা নিয়ে ঝামেলা। টিএমসিপির অভিযোগ এসএফআই ও আইসির বিরুদ্ধে। পাল্টা টিএমসিপির বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ ওই দুই পড়ুয়া সংগঠনের। বুধবার সন্ধেয় এ নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা প্রেসিডেন্সিতে। মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী।
গোলমালের সূত্রপাত, বাংলা স্নাতকোত্তরের পড়ুয়া আনোয়ার মহম্মদ ও পলিটন শীলশর্মা নামে দুই ছাত্রের ছাত্রাবাসে থাকা নিয়ে। তাঁদের ছাত্রাবাসে থাকতে দিতে নারাজ ছাত্রদের একটি অংশ। অভিযোগ, কোচবিহারের বাসিন্দা দুই পড়ুয়া গত বৃহস্পতিবার ছাত্রাবাসে আসেন, কিন্তু বর্তমান আবাসিকদের একাংশ তার বিরোধিতা করে ওই দু’জনকে সোমবারের মধ্যে হস্টেল ছাড়তে বলেন। আনোয়ারদের দাবি, ছাত্রাবাস স্থানান্তরের সময় না থাকায়, তাঁদের থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের সমর্থক হওয়ায় এই দুই ছাত্রকে ছাত্রাবাস ছাড়তে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁদের।
বাংলা স্নাতকোত্তরের পড়ুয়া আনোয়ার মহম্মদ ও পলিটন শীলশর্মা নিজস্ব চিত্র।
এক আবাসিক জানান, ওই দুই ছাত্রকে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে ছাত্রাবাস ছাড়ার জন্য। যাঁদের প্রয়োজন আছে তাঁরাই ছাত্রাবাসে থাকতে পারেন। এই দুই পড়ুয়া কিছু না জানিয়ে চলে আসায় তাঁদের চলে যেতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে রাজনীতি নেই।
ছাত্রাবাস না ছাড়ায় তাঁদের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন আনোয়ার। বুধবার ছাত্রাবাসের ডিনের কাছেও অভিযোগ করতে যান বলে দাবি ছাত্রদের। অন্য পড়ুয়াদের অভিযোগ, এই সমস্যাকে কেন্দ্র করে দুপুরে টিএমসিপি সমর্থক বলে পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক পড়ুয়া অসংবেদনশীল মন্তব্য করায় পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়ে ওঠে। যদিও তৃতীয় বর্ষের ওই পড়ুয়া অভিযোগ মানতে নারাজ। ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে আইসি ও এসএফআই সমর্থক পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্রকে আটকে রাখেন বলে অভিযোগ। তাঁদের ছাড়াতে প্রেসিডেন্সিতে চলে আসেন টিএমসিপির সহ-সভাপতি সুদীপ রাহা। তাঁকে ঘিরেও উত্তেজনা তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।