গ্রাফিক— সন্দীপন রুইদাস
করোনায় অনাথ শিশুরা ১৮ বছর বয়স হলেই কেন্দ্রের সাহায্য পাবে, জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার মোদীর সেই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করলেন প্রশান্ত কিশোর। টুইটারে লিখলেন, ‘এই হল মোদীর নিজস্ব ধাঁচের মাস্টারস্ট্রোক। করোনায় বাবা-মাকে হারিয়ে দিশাহারা শিশুরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি নিয়েই তবে আপাতত বাঁচুক। আর কেন্দ্রের সাহায্যের জন্য ১৮ বছর বয়স হওয়া অবধি অপেক্ষা করুক’।
করোনা পরিস্থিতিতে বাবা-মা-অভিভাবককে হারিয়ে অনাথ হওয়া শিশুদের জন্য কেন্দ্রীয় অর্থ সাহায্যের ঘোষণা করেছিলেন মোদী। শনিবার টুইটারে লিখেছিলেন, ‘অজস্র শিশু কোভিড পরিস্থিতিতে নিজের বাবা-মাকে হারিয়েছে। সরকার এদের জীবনের খেয়াল রাখবে। এঁরা যাতে সুস্থ এবং সুন্দর জীবন অতিবাহিত করতে পারে, তা নিশ্চিত করবে। পিএম কেয়ার্স ফান্ড থেকে এদের শিক্ষা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সাহায্যও করবে’।
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সেই টুইটকেই কটাক্ষ করে ভোটকৌশলী পিকে লেখেন, ‘ওই শিশুদের সাহায্যের দরকার এখন। কিন্তু তারা তা পাবে না। বদলে তাদের অপেক্ষা করতে হবে ১৮ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত। তার আগে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসেই ভরসাতেই থাকতে হবে তাদের’।
শুধু তা-ই নয়, এ ব্যাপারে মোদী সরকারকে কটাক্ষ করে প্রশান্ত টুইটারে লেখেন, ‘বিনামূল্যে শিক্ষার অধিকার সংবিধানেই দেওয়া আছে। কিন্তু এই শিশুদের মোদীর প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত আরও একবার সেই প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য’।
এই শিশুদের স্বাস্থ্যবিমার নিশ্চয়তাও দিয়েছেন মোদী। সে প্রসঙ্গে প্রশান্তের সংযোজন, ‘আয়ুষ্মাণ ভারতে এদের স্বাস্থ্যবিমা নিশ্চিত করা হয়েছে। যে আয়ুষ্মাণ ভারত ইতিমধ্যেই ৫০ কোটি দেশবাসীর স্বাস্থ্যবিমার দায়িত্ব নিয়েছে বলে দাবি। অথচ প্রয়োজনে হাসপাতালের শয্যা বা অক্সিজেন কিছুই দিতে পারেনি’।