Tangra Unnatural Deaths

পায়েসে কি তুলসীপাতাও ছিল? ঘুমের ওষুধের সঙ্গে আর কী মেশানো হয় শেষ খাবারে? দেখছে পুলিশ

হাসপাতাল থেকে দে পরিবারের দুই ভাই-ই দাবি করেছেন, সোমবার রাতে তাঁরা একসঙ্গে ঘুমের ওষুধ মেশানো পায়েস খেয়েছিলেন। পুলিশের অনুমান, তাতে তুলসীপাতাও মেশানো হয়ে থাকতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:৪৫
Share:
পায়েসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খেয়েছিলেন ট্যাংরার দে পরিবারের সদস্যেরা।

পায়েসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খেয়েছিলেন ট্যাংরার দে পরিবারের সদস্যেরা। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

যত দিন যাচ্ছে, ট্যাংরাকাণ্ডের রহস্য আরও জটিল হচ্ছে। প্রণয় দে, প্রসূন দে এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যেরা একসঙ্গে শেষ বার কী খেয়েছিলেন? অনুসন্ধান করে দেখছে পুলিশ। আহত দুই ভাইয়ের দাবি, তাঁরা ছ’জন একসঙ্গে পায়েস খেয়েছিলেন। তাতে মেশানো ছিল ঘুমের ওষুধ। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘুমের ওষুধ ছাড়াও আরও কিছু সেই পায়েসে মেশানো হয়েছিল। যা খেয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৪ বছরের কিশোরী প্রিয়ম্বদার। পুলিশের অনুমান, পায়েসে মেশানো হয়েছিল তুলসীপাতা। তবে এই সমস্ত সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি তদন্তকারীরা। প্রণয়, প্রসূন এবং ওই পরিবারের কিশোর প্রতীপ এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Advertisement

কিশোরীর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, তার পেটে যে খাবার ছিল, তা পুরোপুরি হজম হয়নি। সেই খাবারে হলুদ এবং সাদাটে কণিকা ছিল। ওষুধের গন্ধও ছিল। পায়েসে ঘুমের ওষুধ ছাড়া আর কী মেশানো হয়েছিল, কেনই বা মেশানো হয়েছিল, পুলিশ দেখছে। প্রথম থেকেই এই ঘটনায় বড় ভূমিকা নিয়েছে পায়েস। যে পায়েস খেয়ে কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে, তা কি দুই ভাইও খেয়েছিলেন? তাঁদের শরীরে পায়েসের প্রভাব পড়ল না কেন? কিশোর প্রতীপই বা ঘুম থেকে জেগে উঠল কী ভাবে? প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের অনুমান, পায়েস খেয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলেন দুই বধূ রোমি এবং সুদেষ্ণা। সেই অবস্থায় তাঁদের হাতের শিরা এবং গলার নলি কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।

গত বুধবার বাইপাসের ধারে অভিষিক্তা মোড়ে একটি মেট্রোর পিলারে ধাক্কা খায় প্রণয়দের গাড়ি। তাতে দুই ভাই এবং কিশোর ছিলেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, ট্যাংরায় তাঁদের বাড়িতে দুই বধূ এবং কিশোরীর দেহ পড়ে আছে। দেহগুলি উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট হয় যে, তিন জনকেই খুন করা হয়েছে। দুই বধূর হাতের শিরা এবং গলার নলি কাটা অবস্থায় ছিল। কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরে। হাসপাতাল থেকে দুই ভাই দাবি করেছেন, তাঁরা সপরিবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। ঘুমের ওষুধ পায়েসে মিশিয়ে খেয়েছিলেন সকলে। পরে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যেই গাড়ি নিয়ে পিলারে ধাক্কা মারেন। পুলিশ এই দাবিগুলির সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা করছে।

Advertisement

কখন কী ঘটেছিল, খুনের কারণ কী, সব বিষয়ে দুই ভাইকে পূর্ণাঙ্গ জেরা করার ভাবনা রয়েছে তদন্তকারীদের। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠলে তাঁদের হেফাজতে নেওয়া হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement