—নিজস্ব চিত্র।
রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’-এর ধাঁচেই হাসপাতালের ওয়ার্ডে এ বার এক্স-রে করানোর সুবিধা হাজির। এক্স-রে করানোর প্রয়োজনে বারাসত হাসপাতালের রোগীদের ওয়ার্ড ছেড়ে যেতে হচ্ছে না। সম্প্রতি এই হাসপাতালের একটি নতুন পোর্টেবল এক্স-রে মেশিন বসানোর বন্দোবস্ত করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের পাশাপাশি বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের উদ্যোগেই এই মেশিন বসানো হয়েছে। রোগীদের প্রয়োজন মতো বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরিয়ে সেটির মাধ্যমে তাঁদের এক্স-রে করানো হচ্ছে। এতে রোগীদের সুবিধা হচ্ছে হলেও মত তাঁদের পরিবার-পরিজনদের।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, এত দিন এক্স-রে করানোর প্রয়োজনে রোগীদের ওয়ার্ড থেকে সরিয়ে হাসপাতালের এক্স-রে সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হত। তাতে বহু রোগীই সমস্যায় পড়তেন। তবে ওয়ার্ডের ভিতরেই এক্স-রে করানোর সুবিধায় এসে হাজির হওয়ায় গুরুতর অসুস্থদের এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যেতে হচ্ছে না। বারাসত হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘এক্স-রে করানোর জন্য হাসপাতালের উপরতলা থেকে নীচের তলায় নিয়ে এলে রোগীরা যথেষ্ট অসুবিধায় পড়েন। সে কারণেই আমরা রাজ্য সরকারের কাছে পোর্টেবল এক্স-রে মেশিনের আবেদন করেছিলাম। রাজ্য সরকার সে আবেদন মঞ্জুর করেছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন আগেই ছিল। তবে রাজ্য সরকার এবং বারাসত হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন তথা এলাকার সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের প্রচেষ্টায় হাসপাতালে জেনারেল ওয়ার্ডের ভিতরেও পোর্টেবল এক্স-রে মেশিন বসানো হয়েছে। এই মেশিন থাকায় ওয়ার্ডের যে সমস্ত রোগীদের এক্স-রে করানোর জন্য অন্যত্র নিয়ে যাওয়ায় যে সমস্যা হত, তা আর হবে না।’’
বারাসত হাসপাতালের এই অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা উজ্জ্বল চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘এই হাসপাতালে এক্স-রে করানোর বন্দোবস্ত ছিল। তবে এক্স-রে করানোর জন্য রোগীদের উপরতলা থেকে নীচের তলায় নামিয়ে আনতে হত। তবে নিজেদের ওয়ার্ডেই এক্স-রে মেশিন এসে যাওয়ায় রোগী ও তাঁর পরিজনেরা স্বস্তি পাবেন।’’