অমিত শাহ এবং শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি ঘিরে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। এখন ইডি হেফাজতে রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সাসপেন্ড তৃণমূল নেতা পার্থ। যা নিয়ে ‘অস্বস্তি’তে রাজ্য সরকার। সেই আবহেই দিল্লি গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ‘বিশেষ বৈঠক’ রয়েছে তাঁর। কী নিয়ে বৈঠক, আলোচনার বিষয়বস্তু কী, এ সব নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
প্রথমে জানা গিয়েছিল, শাহি-বৈঠকে শুভেন্দু ছাড়াও থাকবেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সংসদের বাদল অধিবেশন উপলক্ষে বাংলার সব বিজেপি সাংসদই এখন দিল্লিতে রয়েছেন। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে, শেষ মুহূর্তে কোনও পরিবর্তন না-হলে শাহের সঙ্গে মঙ্গলের বৈঠকে শুধু শুভেন্দুই থাকবেন। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা।
এসএসসি মামলা এবং পার্থের গ্রেফতারি নিয়ে বিজেপিতে বটেই, বাংলায় বিরোধীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরব হতে দেখা গিয়েছে শুভেন্দুকেই। পার্থের গ্রেফতারির সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফার দাবি তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা। এ নিয়ে রাজভবনেও দরবার করেছেন তিনি। আবার পার্থকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর পর শুভেন্দুর নিশানায় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামের বিধায়কের কটাক্ষ, ‘‘অপা (ধৃত পার্থ এবং অর্পিতার শান্তিনিকেতনের বাড়ির বাইরের ফটকে লেখা আছে ‘অপা’। যা অর্পিতা এবং পার্থের নামের আদ্যক্ষর বলে দাবি ইডির) সিন্ডিকেটের মূলে রয়েছেন পিসি-ভাইপো।’’
প্রসঙ্গত, আগামী ৭ অগস্ট নীতি আয়োগের বৈঠক আছে। সেই বৈঠকে যোগ দিতে ৪ তারিখ দিল্লি যাওয়ার কথা মমতার। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে। আর এই আবহে শুভেন্দু-শাহের একান্ত বৈঠককে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।
শাহ-শুভেন্দুর এই বৈঠকের সঙ্গে ইডি তদন্তের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, এ নিয়ে অবশ্য নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে অনেকে মনে করছেন, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির তদন্ত যাতে আরও গভীরে যায়, তা নিশ্চিত করতেই শুভেন্দুর এই দিল্লিযাত্রা। বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এই বৈঠক হতে পারে। সেখানে শাহকে বাংলার নানা রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের বিবরণ দিতে পারেন শুভেন্দু। তা ছাড়া, চলতি মাসের শেষের দিকে কলকাতা সফরে আসতে পারেন শাহ। তার আগে বাংলায় গেরুয়া শিবিরের সাংগঠনিক প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা হতে পারে তাঁদের।