প্রতীকী ছবি।
একটি নয়, আলোচনার স্তরে রয়েছে একাধিক ‘ব্লু প্রিন্ট’ বা নীল নকশা। পুরভোটের প্রস্তুতিতে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে সেগুলো নিয়ে চর্চা চলছে। তবে পুরভোটের দিনক্ষণ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তার মধ্যেই পুর নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মী-অফিসারদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেল।
প্রথম সম্ভাবনা: এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে কলকাতা পুরসভার ভোট হতে পারে। সঙ্গে হতে পারে হাওড়া পুরসভার নির্বাচনও। রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলির ভোট কিছু দিনের ব্যবধানে করার বিষয়ে কথা হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর।
দ্বিতীয় সম্ভাবনা: ছ’টি কর্পোরেশন বা পুরসভার কলকাতা, বিধাননগর, হাওড়া, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ির নির্বাচন হতে পারে একই সঙ্গে। বাকি পুরসভার ভোট হতে পারে তার পরে।
তৃতীয় সম্ভাবনা: পুরভোট হতে পারে তিন-চার দফায়। সে-ক্ষেত্রে জেলাভিত্তিক ভোটের ভাবনাও রয়েছে প্রশাসনের। এমনকি, একটি জেলার কয়েকটি পুরসভার ভোটের পরে পরিস্থিতি বুঝে সেই জেলার বাকি পুরসভাগুলির নির্বাচন অন্য দিনে হতে পারে।
চতুর্থ সম্ভাবনা: প্রথম দফায় এপ্রিলে পুরভোট হবে। দ্বিতীয় দফায় মে-র শেষে নির্বাচন হতে পারে।
আগামী ২৭ মার্চ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা। তার আগে কোনও ভাবেই প্রচারে মাইক ব্যবহার করা যাবে না। তাই রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীরা যাতে প্রচারের জন্য পর্যাপ্ত সময়-সুযোগ পান, তা বিবেচনা করেই ভোটের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হবে। রমজান মাস শুরু হবে ২৪ এপ্রিল। পুরভোটের নির্ঘণ্ট চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে রমজান মাসও বিবেচনায় থাকবে বলে প্রশাসনিক সূত্রের দাবি। নিয়ম অনুসারে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন থেকে ন্যূনতম দু’সপ্তাহ পরে, ১৫ দিনের মাথায় নির্বাচন করা যায়।
রাজ্য সরকারের অধীনে সব নির্বাচনই ব্যালট পেপারে করার বিষয়ে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে সওয়াল করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তা নিয়ে তৃণমূলের তরফ থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও আবেদন জমা পড়েনি। এমনকি, বিরোধী শিবিরের তরফে তা নিয়ে জোরালো দাবিও করা হয়নি। বরং বিরোধীদের বক্তব্য, ইভিএম বা ব্যালট পেপারে নির্বাচনের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ মানুষের ভোটাধিকার সুনিশ্চিত করা। তবে পুরভোট ব্যালটে হবে, নাকি ইভিএমে— তা নিয়ে এখনও চর্চা চলছে বলে জানাচ্ছেন প্রশাসনিক কর্তারা। কলকাতা-সহ বড় পুরসভায় (কর্পোরেশন) ইভিএম ব্যবহার করে অন্য পুরসভায় ব্যালট পেপার ব্যবহার হতে পারে, এমন আলোচনাও চলছে প্রশাসনের অন্দরে। ইভিএমে ভোট হলে সময় এবং কর্মী কম লাগবেও বলে কমিশনের কর্তাদের অভিমত।