কালীঘাট মন্দিরে পুজো অমিত শাহের। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই।
মন্ত্রপাঠ। কালীঘাটের গর্ভগৃহে প্রবেশ করে দুধ ও ডাবের জল দিয়ে মা কালীর পুজো করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মা কালীর বিগ্রহে চূর্ণিও জড়িয়ে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মঙ্গলবার প্রায় পাঁচ মিনিট মন্ত্রপাঠ করে পুজোর পরে মিনিট দুয়েক পঞ্চপ্রদীপ হাতে আরতিও করতে দেখা যায় তাঁকে।
এ হেন ভিআইপি-র মন্দির দর্শনের কারণে এ দিন সকাল ১০টা থেকেই দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ হয়ে যায়। মন্দির ঘিরে জোরদার করা হয় নিরাপত্তা, যেখানে লালবাজারের একাধিক কর্তা ও এনএসজি (ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড) কর্তারা ছিলেন তদারকিতে।
কালীঘাট মন্দিরে এখন সংস্কারের কাজ চলছে। মন্দিরের ভিতরে ও চারিদিকে তাই ভাঙাচোরা দশা। অধিকাংশ প্রবেশদ্বারই সেই কারণে বন্ধ। এ দিন মন্দিরের দু’নম্বর গেট দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রবেশপথ তৈরি হয়েছিল। গেটের সামনে লাল কার্পেট পাতা হয়। পুরো বিষয়টির তদারকিতে ছিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
দুপুর ১২.১০ নাগাদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কনভয় কালীঘাট মন্দিরে পৌঁছয়। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মন্দিরে তখন লকেটের পাশে ছিলেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তাঁদের দু’জনকে সঙ্গে নিয়ে শাহ, নড্ডা ও সুকান্ত মন্দিরে ঢোকেন। পুজোর পরে মন্দিরের পুরোহিতের হাতে দক্ষিণা দিয়ে
১২টা ১৯ নাগাদ মন্দির থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁরা।
দু’নম্বর গেটের কিছুটা পাশেই মাইক্রোফোন সমেত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। কিন্তু শাহ সেই পথ মাড়াননি। মন্দির থেকে বেরিয়ে আশেপাশে জমায়েত করে থাকা বিজেপি সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নেড়ে গাড়িতে উঠে পড়েন তিনি।
এ দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে সকাল থেকেই পতাকা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল স্থানীয় তৃণমূল ও বিজেপি। সকাল হতেই দেখা যায়, গোটা মন্দির চত্বর-সহ ২ নম্বর গেটের আশেপাশ তৃণমূলের পতাকায় ছেয়ে গিয়েছে। বেলা বাড়ার পরে তৃণমূলের পতাকার পাশে জায়গা করে নেয় বিজেপির পতাকাও।