শিল্পের দাবিতে বাম বাইক-যাত্রা আটকে দিল পুলিশ

আগামী ১০ দিনের মধ্যে আশ্বাস পূরণ না হলে সব জেলা থেকে বাইক নিয়ে নবান্ন অভিযানের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:৪৮
Share:

কৃষক ও শ্রমিকদের দাবি নিয়ে সিঙ্গুর থেকে পদযাত্রা নির্বিঘ্নেই পৌঁছেছিল কলকাতায়। কিন্তু শিল্প ও কর্মসংস্থানের দাবিতে সিপিএমের ছাত্র-যুবদের বাইক-যাত্রা শুরুতেই আটকে গেল পুলিশি বাধায়। আসানসোলের পুলিশ ‘অন্যায় ভাবে’ তাদের বাধা দিয়েছে, এই অভিযোগে আদালতে যেতে চেয়ে আইনি প্রস্তুতি নিচ্ছে সিপিএম। আগামী ১০ দিনের মধ্যে আশ্বাস পূরণ না হলে সব জেলা থেকে বাইক নিয়ে নবান্ন অভিযানের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, বাইক-যাত্রার অনুমতি ছিল না বলেই রাস্তায় আটকানো হয়েছে।

Advertisement

‘শিল্প বিপন্ন, চলো নবান্ন’— এই স্লোগান গিয়ে বৃহস্পতিবার বার্নপুরের বার্ন স্ট্যান্ডার্ড কারখানার গেট থেকে বাইক-যাত্রা করে নবান্নের দিকে আসার কথা ছিল ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই কর্মীদের। সকালে কারখানার গেটের সামনে সভা করে বাইক মিছিল শুরুর সময়েই তা আটকে দেয় পুলিশ। ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ যুব ও ছাত্র সংগঠনের জেলা নেতৃত্ব সেখানে ছিলেন। পুলিশের বাধা পেয়ে তাঁরা বার্নপুর রোড অবরোধ করেন। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি বাধে। আবার দুর্গাপুরের দিক থেকে আসানসোলে বাইক-যাত্রায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য-সহ বেশ কিছু নেতা-কর্মী। দুবচুড়ুরিয়ার কাছে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে তাঁদেরও আটকে দেয় পুলিশ। সৃজনেরা রাস্তায় বসে পড়েন। পুলিশ ৮২ জনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। সিপিএম বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় পৌঁছনোর পরে এবং থানা ঘিরে বিক্ষোভের হুমকির মুখে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

পরে কলকাতায় ফিরে সৃজন এবং ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র অভিযোগ করেন, ‘‘আসানসোল ও দুর্গাপুরে শিল্প পুনরুজ্জীবনে বেশির ভাগ ভূমিকাই কেন্দ্রীয় সরকারের। আমরা পুলিশকে জানিয়ে, হেলমেট ও অন্যান্য সুরক্ষা বিধি মেনে বাইক মিছিল করতে গেলেও যে ভাবে নবান্নের নির্দেশে তাণ্ডব চালানো হল, তাতে বিজেপি ও তৃণমূলের বোঝাপড়া আবার স্পষ্ট!’’ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, ‘‘কর্মসংস্থানের দাবিতে শান্তিপূর্ণ বাইক মিছিলে বাধা দিয়ে রাজ্য সরকার তাদের মনোভাব বুঝিয়ে দিয়েছে।’’ আসানসোলের ডিসিপি (পূর্ব) অভিষেক মোদী অবশ্য বলেন, ‘‘বাইক মিছিলের অনুমতি ছিল না। আটকানোয় রাস্তায় বসে পড়েন অনেকে। তাই গ্রেফতার করা হয়।’’

Advertisement

সায়নদীপ, সৃজনদের যদিও দাবি, নবান্নে ডিজি-র দফতরে গিয়ে ১৪ ডিসেম্বর কথা বলে বাইক-যাত্রার যাবতীয় সূচি জানানো হয়েছিল। পুলিশও বারেবারেই যোগাযোগ করে সব খুঁটিনাটি জেনেছিল। তার পরেও এমন ঘটনায় যুব নেতাদের হুঁশিয়ারি, পুলিশের ‘বাধা’ মোকাবিলা করেই সব জেলা থেকে নবান্নের দিকে বাইক-যাত্রা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement