টোটো থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। —সংগৃহীত।
বড় রাস্তায় টোটো বন্ধের নির্দেশিকা নিয়ে তপ্ত হল ব্যারাকপুর স্টেশন চত্বর। টোটো চালকদের সঙ্গে তীব্র বচসা বাধে পুলিশের। রাস্তায় বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। পুলিশের বক্তব্য, টোটোর জন্যই তীব্র যানজট তৈরি হচ্ছে। সেই কারণেই এই পদক্ষেপ। পাল্টা টোটো চালকদের বক্তব্য, হঠাৎ করে এ ভাবে নির্দেশিকা জারি হলে তাঁরা খাবেন কী, সংসার চালাবেন কী ভাবে।
বুধবার সকাল থেকেই ব্যারাকপুর স্টেশন থেকে দু’পয়সার ঘাট, ব্রিজ দিয়ে ওয়্যারলেস মোড়-সহ বিভিন্ন রাস্তায় টোটো চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। দেখা যায় রাস্তায় নেমে পুলিশ সেই নির্দেশিকা কার্যকর করছে। এ নিয়ে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বচসা বাধে টোটো চালকদের। তারা পুলিশের মুখের উপর বলেন, নির্দেশিকা না মেনেই তাঁরা টোটো চালাবেন। পাল্টা পুলিশও জানিয়ে দেয়, সেটা করলে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে। পরে অবশ্য পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়। এক টোটো চালক রমেন দাস বলেন, ‘‘১০ বছর ধরে আমরা স্টেশন থেকে লঞ্চ ঘাট পর্যন্ত টোটো চালাচ্ছি। হঠাৎ করে যদি বন্ধ করে দেওয়া হয়, তা হলে আমরা যাব কোথায়।’’
গত ৫ সেপ্টেম্বর পরিবহণ দফতরের সচিব সৌমিত্র মোহন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জাতীয় ও রাজ্য সড়কে টোটো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। ওই নিষেধাজ্ঞার আওতায় অটো, টোটো ছাড়াও রয়েছে পরিবহণ দফতরের অনুমোদনহীন তিন চাকার যান। অবৈধ অটো রিক্সা বা টোটো চালানোর ফলে জাতীয় বা রাজ্য সড়কে যানজট তৈরি হচ্ছে। তার প্রেক্ষিতেই এই বিজ্ঞপ্তি।
বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, এই ধরনের অবৈধ যান জাতীয় তথা রাজ্য সড়কে চলাচলের ফলে প্রতিদিন যানজট বাড়ছে। আর সেই যানজটের ফলেই বাড়ছে দুর্ঘটনা। সেই দুর্ঘটনার এড়াতেই এই নির্দেশনামা জারি করা হয়েছে বলে জানানো হয়।