দিলীপের গাড়িও আটকায় পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) সমর্থনে বিজেপির ‘অভিনন্দন মিছিল’ ঘিরে তেতে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম। শনিবার সেখানে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। তা নিয়ে তুমুল বচসা শুরু হয়ে দু’পক্ষের মধ্যে। এর পরে বিজেপি কর্মীরা নন্দীগ্রামে ঢুকতে গেলে পুলিশ তাঁদের উপর লাঠিচার্জও করে বলে অভিযোগ।
সিএএ-র বিরুদ্ধে এক দিকে বাম-কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল রাজ্য জুড়ে যখন বিক্ষোভ চালাচ্ছে, তখন ওই আইনের সমর্থনে বিভিন্ন জায়গায় ‘অভিনন্দন যাত্রা’র আয়োজন করেছে বিজেপি। এ দিন নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মী এবং সমর্থকদের সঙ্গে সেই মিছিলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল দিলীপ ঘোষ এবং রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর।কিন্তু, পুলিশ তাঁদের নন্দীগ্রামে ঢুকতেই দেয়নি বলে অভিযোগ।
মিছিল আটকাতে সকাল থেকেই সেখানে ঢোকার সমস্ত রাস্তায় ব্যারিকেড বসিয়ে বন্ধ করে রাখে পুলিশ। বিপুল বাহিনী নামিয়ে জায়গায় জায়গায় পিকেটিংও করা হয়। এমনকি হলদিয়া টাউনশিপ এবং মহিষাদল তেরোপেথিয়া থেকে থেকে নন্দীগ্রাম যাওয়ার যে ফেরির ব্যবস্থা রয়েছে, বন্ধ করে দেওয়া হয় তা-ও। যাতে কোনও ভাবেই বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা সেখানে ঢুকতে না পারেন।
বিজেপি কর্মীদের পথ আটকায় পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
আরও পড়ুন: মামলা না তোলার ‘শাস্তি’, কানপুরে নির্যাতিতার মাকে পিটিয়ে খুন জামিনে মুক্তদের
আরও পড়ুন: ‘বিশ্ববিদ্যালয় অশান্তি সৃষ্টির কারখানা নয়’, কটাক্ষ বিচারপতি বোবদের
এই অবস্থায় চণ্ডীপুর থেকে নন্দীগ্রামে ঢুকতে গেলে রেয়াপাড়ার কাছে টেঙ্গুয়া মোড়ে দিলীপ ঘোষের গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশের কাছে বাধা পেয়ে গাড়ি থেকেই বক্তৃতা শুরু করেন সায়ন্তন বসু। সিএএ-র কারণে মানুষ কীভাবে উপকৃত হবেন, দলের সমর্থকদের তা বোঝান তিনি। অভিযোগ, সেইসময় ওই জমায়েত ঘিরে ফেলে পুলিশ। তারপরই বিজেপি সমর্থকদের উপর তারা লাঠি চালায় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি। দলের তরফে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের এখন একটাই মাত্র কাজ, বেআইনি অনুপ্রবেশের ঘটনা উপেক্ষা করা এবং যেন তেন প্রকারে বিজেপিকে বাধা দেওয়া। বিজেপির দাবি, দিন পনেরো আগেই এই কর্মসূচির কথা লিখিত ভাবে পুলিশকে জানিয়েছিল তারা। তা সত্ত্বেও মিছিল আটকানো হয়েছে। যদিও কোনওরকম চিঠি তাদের কাছে পৌঁছয়নি বলে পাল্টা দাবি করেছে পুলিশ।