TMC

‘খোঁজ’ নেই উপপ্রধানের, ভয়ে শিক্ষিকা

যে দুই অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তারা হল তপন শীল ও গোবিন্দ সরকার। দু’জনই অমলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গঙ্গারামপুর শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:০৯
Share:

এ ভাবেই মারধর করা হয় স্মৃতিকণা দাসকে। ফাইল চিত্র

ঘটনার পরে তিন দিন পার হয়ে গেল, এখনও শিক্ষিকাকে নিগ্রহ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের উপপ্রধান অমল সরকারকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তাদের বক্তব্য, তল্লাশি চলছে, অন্য দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানান, পুলিশকে দ্রুত গ্রেফতার করতে বলা হয়েছে। তার পরেও কেন অমলকে খুঁজে বার করতে পারেনি পুলিশ, সেই প্রশ্ন উঠেছে। আক্রান্ত শিক্ষিকা স্মৃতিকণা দাস এবং তাঁর পরিবার এখনও আতঙ্কে রয়েছেন। তাঁরা বলছেন, ‘‘আবার যদি সাঙ্গোপাঙ্গদের নিয়ে হামলা চালায়!’’

Advertisement

গত শুক্রবার জমি নিয়ে বিবাদের জেরে স্মৃতিকণাকে মারধর করা এবং তাঁর পায়ে দড়ি বেঁধে টেনে হিঁচড়ে রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর অঞ্চলের উপপ্রধান অমলের বিরুদ্ধে। এ দিন সকালে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করন নায়ার রাধাকৃষ্ণন ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের সামনে দৃষ্টি আকর্ষণী প্রস্তাব রাখেন আইনজীবী রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। তার প্রেক্ষিতে ওই ডিভিশন বেঞ্চ জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ বা ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল এড সার্ভিসেস অথরিটির কাছ থেকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করে।

যে দুই অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তারা হল তপন শীল ও গোবিন্দ সরকার। দু’জনই অমলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। স্থানীয় সূত্রেই বলা হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে এর আগে তৃণমূল কর্মী পরিতোষ ভৌমিককে খুনের অভিযোগও ওঠে। সেই ঘটনায় দীর্ঘদিন ধরে সেই অর্থে কোনও তদন্তই শুরু হয়নি বলে অভিযোগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন বলেন, ‘‘এক সময়ে জেলার দোর্দণ্ডপ্রতাপ এক তৃণমূল জেলা সভাপতির ঘনিষ্ঠ ছিল এরা। তিনি পরে বিজেপিতে চলে যান। তখন শিবির বদলে নতুন ক্ষমতাবানদের কাছাকাছি চলে যায় তারা। এই অবস্থায় কে-ই বা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলবে? ফলে এত দিন ধরে খোলামেলা ভাবে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের খোঁজ পায়নি।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: আইসিইউ নেই, ডেন্টাল কলেজে অস্ত্রোপচার বন্ধ

গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ অবশ্য এখন বলেছে, পরিতোষ ভৌমিকের খুনের অভিযোগের মামলাও শুরু করা হয়েছে। গঙ্গারামপুর থানার আইসি পুর্ণেন্দু কুণ্ডু বলেন, ‘‘মূল অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে। কাউকে ছাড়া হবে না।’’ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা, মারধর, লুটপাট-সহ একাধিক ধারায় জামিন অযোগ্য মামলা দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement