কখনও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা, আবার কখনও অতি সক্রিয়তার অভিযোগ উঠছিলই। এ বার অমানবিকতার অভিযোগ উঠল সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই। দুর্ঘটনায় আহতদের ভ্যানে তুলতে রাজি না-হওয়ায় ক্ষিপ্ত জনতার আক্রমণের মুখে পড়ল তারা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় নিমতার গোলবাগানে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ধরে বাড়ি ফেরার পথে কালাশশী সরকার নামে এক বৃদ্ধা এবং তাঁর নাতি সায়নকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায় একটি গাড়ি। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা দাঁড়িয়ে থাকা একটি পুলিশ ভ্যানের কর্মীদের অনুরোধ করেন। তাতে কান না-দিয়ে পুলিশকর্মীরা ভ্যান নিয়ে চলে যান। পরে পুলিশের অন্য টহলদার জিপ সেখানে পৌঁছলে উত্তেজিত জনতা সেটি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। জনতার ইটে কয়েক জন পুলিশকর্মী জখম হন। তার পরেই ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (ট্রাফিক) অমিতকুমার রাঠৌর বিশাল বাহিনী নিয়ে হাজির হন। শুরু হয় পুলিশ-জনতা সংঘর্ষ। তাতে ঘোলা থানার আইসি নির্মলকুমার যশ-সহ তিন পুলিশকর্মী আহত হন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের উপরে লাঠি চালিয়েছে। পুলিশের বক্তব্য, মারমুখী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতেই লাঠি চালাতে হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত দু’জনকেই সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।