—নিজস্ব চিত্র।
সকালেই তল্লাশি অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিন পুলিশকর্মী। যাঁর কারণে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল, সেই ‘প্রতারকের’ও হদিস মেলেনি। পরে সন্ধ্যায় অভিযুক্তের বাড়িতে মিলল সুড়ঙ্গের হদিস। যা দেখে কার্যত হতভম্ব হয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা।
সোমবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থানা এলাকার জালাবেড়িয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পয়তারহাট এলাকায় প্রতারণায় অভিযুক্ত সাদ্দাম লস্কর নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যায় পুলিশ। অভিযোগ, সেখানে বিক্ষোভের মুখে পড়ে তারা। পুলিশকর্মীদের ঘিরে ধরে গুলি চালানোরও অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় দুই সাব ইন্সপেক্টর-সহ মোট তিন পুলিশকর্মী জখম হন। দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক জন সাদ্দামের স্ত্রী রাবেয়া সর্দার। দ্বিতীয় জনের নাম মাসুদা সর্দার। তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সকালের এই ঘটনার পরেই এলাকায় আরও পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। সাদ্দামের খোঁজে শুরু হয় এলাকায় তল্লাশি চালানো। সেই তল্লাশি সুড়ঙ্গের হদিস মিলেছে তাঁর বাড়িতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুড়ঙ্গটি সাদ্দামের শোওয়ার ঘরে রয়েছে। সেটি বাইরে একটি খালের সঙ্গে যুক্ত। তদন্তকারীদের অনুমান, সাদ্দাম এই সুড়ঙ্গ দিয়েই পালিয়েছেন।
তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, সাদ্দামের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সোনার ঠাকুর বিক্রি করার নামে প্রতারণা করেন। কেউ কেনার জন্য গেলে তাঁর সর্বস্ব লুট করা হত। তার পর দীর্ঘ দিন এলাকাছাড়া হয়ে থাকতেন তিনি। এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্তে নামে পুলিশ। খবর সংগ্রহ করে পয়তারহাটে তল্লাশি অভিযানে যায় তারা। সেই সময়েই হামলার ঘটনা ঘটে।