ফাইল চিত্র।
শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তমলুক থানায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল পুলিশ। মামলায় প্রায় ১২টি ধারা যোগ হয়েছে বলে খবর। সোমবার প্রকাশ্য সভা থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বলেছিলেন, তৃণমূলের কথা শুনলে তাঁকে কাশ্মীরে বদলি করা হতে পারে। এই মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পদক্ষেপ করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার তমলুকে ৫০ জনের বেশি অনুগামী নিয়ে গিয়ে সভা করেন শুভেন্দু। ফলে কোভিড বিধি ভেঙেছেন তিনি। তাই বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া সরকারি কাজে বাধা দিয়েছেন তিনি। সেই ধারাতেও মামলা হয়েছে। পুলিশ সুপারকে হুমকি দেওয়া ও পুলিশের ফোন আড়ি পাতারও অভিযোগ উঠেছে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে জানিয়েছেন, ‘‘ওনার বিরুদ্ধে তমলুক থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। করোনা বিধি ভেঙে জমায়েত করায় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের নির্দিষ্ট ধারায় মামলা হয়েছে।’’
সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের সদর তমলুকে পুলিশ সুপারের দফতরে স্মারকলিপি জমা দিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের কথা শুনে ভুল কাজ করায় রাজীব কুমারের মতো অনেক অফিসারকে বিপদে পড়তে হয়েছে। তাই ঠিক মতো কাজ করুন।’’ নাম না করে এসপি-র উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, ‘‘এখানে একটি বাচ্চা ছেলে এসপি হয়ে এসেছেন। আমি তাঁকে বলতে চাই আপনি কেন্দ্রীয় সরকারের অফিসার। এমন কাজ করবেন না যাতে কাশ্মীরের অনন্তনাগ বা বারমুলায় গিয়ে ডিউটি করতে হয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভাইপোর অফিস থেকে যাঁরা ফোন করেন তাঁদের প্রত্যেকের কল রেকর্ড আমার কাছে রয়েছে। তাই সতর্ক হন। আপনাদের কাছে যদি রাজ্য সরকার থাকে, তবে আমাদের হাতে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।’’
এই মন্তব্যের পরে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, শুভেন্দু নিজের মুখে স্বীকার করেছেন তাঁর কাছে তৃণমূলের নেতাদের ফোনের কল রেকর্ড, তথ্য সব রয়েছে। অর্থাৎ ফোনে আড়ি পাতার কথা নিজেই স্বীকার করেছেন শুভেন্দু। তাই তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হোক।