বমাল: উদ্ধার হওয়া চোরাই মোবাইল-সহ ধৃতেরা। নিজস্ব চিত্র
এক মোবাইল চোরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রচুর মোবাইল ও ল্যাপটপ উদ্ধার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে, বারুইপুর থানা এলাকা থেকে। বারুইপুর জেলা পুলিশ সুপার রশিদ মুনির খান জানান, ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সাত জনকে। তাদের মধ্যে এক জন আন্তঃজেলা মোবাইল চুরি-চক্রের পাণ্ডা। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১৪০টি দামি মোবাইল ও দু’টি ল্যাপটপ। ধৃতদের নাম তাপস মণ্ডল, সঞ্জয় মণ্ডল, কাজি শাহজাহান, সুকান্ত মণ্ডল, সন্টু পুরকাইত, সুশীল শর্মা এবং শেখ আমজাদ। তাদের জেরা করে এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত, সেই খোঁজ করা হচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মোবাইল চুরির তদন্তে নেমে বারুইপুর থানা বৃহস্পতিবার রাতে নরেন্দ্রপুর থেকে প্রথমে তাপসকে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বারুইপুরের সুবুদ্ধিপুর এলাকা থেকে ধরা হয় সঞ্জয় এবং শাহজাহানকে। ওই দু’জনকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, কল্যাণপুরের বাসিন্দা সুকান্ত সব চোরাই মোবাইল জমা রাখত। তখন তাকে গ্রেফতার করা হয়। সুকান্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় পেশায় মোবাইল টেকনিশিয়ান সন্টুর নাম। তার বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় মোবাইল ও ল্যাপটপ।
তদন্তে পুলিশ জেনেছে, মোবাইল চুরি-চক্রের পাণ্ডা সুকান্ত। চোরাই মোবাইলে নতুন সফটওয়্যার ইনস্টল করে সেগুলি সুকান্তের গাড়িতে করেই পাচার করা হত। মোবাইল সারানো এবং সফটওয়্যার ইনস্টল করার কাজ করত সন্টু। এই চক্রটির সঙ্গে লেনদেন ছিল হাওড়ার ধূলাগড়ের একটি দলের। পুলিশ জানিয়েছে, মোবাইল চুরি চক্রের কেউ মাধ্যমিক, কেউ উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সুকান্তর গাড়ির চালক সুশীল শর্মাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জেরা করে মল্লিকপুর থেকে ধরা হয় আর এক মোবাইল চোর শেখ আমজাদকে।
জানা গিয়েছে, তাপস, সঞ্জয় ও শাহজাহানের থেকে চোরাই মোবাইল কম দামে কিনত সুকান্ত। তার পরে সেগুলি সারিয়ে তার সফটওয়্যার বদলে ফেলত সন্টুকে দিয়ে। এর পরে ওই ফোনগুলি জেলা এবং কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া হত।