জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে আসানসোলে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে শনিবার রাত ২টো নাগাদ আসানসোলে ঢুকল পুলিশ। তাঁকে আসানসোল উত্তর থানায় রাখা হয়েছে। রবিবারই তোলা হবে আদালতে।
কম্বলকাণ্ডে জিতেন্দ্রকে শনিবার গ্রেফতার করা হয়। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতর এবং আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে নয়ডায় যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে। তার পর বিজেপি নেতাকে উড়িয়ে আনা হয় দমদম বিমানবন্দরে। রাতেই দমদমের সরকারি হাসপাতালে জিতেন্দ্রের স্বাস্থ্যপরীক্ষার ব্যবস্থা করেছিল পুলিশ। তার পর তাঁকে নিয়ে সোজা আসানসোল পৌঁছেছে তারা।
আসানসোল উত্তর থানা এবং আসানসোল আদালত চত্বরে ইতিমধ্যেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জিতেন্দ্রকে আদালতে তোলার সময় যাতে কোনও রকম গোলমাল না হয়, তা নিশ্চিত করতেই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে পুলিশ।
আসানসোল উত্তর থানায় যেখানে জিতেন্দ্রকে রাখা হয়েছে, সেই এলাকাতেই গত ১৪ ডিসেম্বর কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়। সেই কম্বলকাণ্ডেই শনিবার গ্রেফতার হলেন বিজেপি নেতা। ওই ঘটনায় জিতেনের স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি-সহ মোট ৩ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন তাঁরাই।
কম্বল মামলায় জিতেন্দ্র এবং চৈতালিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে একাধিক বার তাঁদের ফ্ল্যাটে যান দুর্গাপুর-আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের কর্মীরা। কিন্তু ফ্ল্যাট তালাবন্ধ দেখে তাঁদের ফিরতে হয়। তিওয়ারি দম্পতির নাগাল পাচ্ছিল না পুলিশ। সেই আবহেই গত ২২ ডিসেম্বর চৈতালির আবেদন মেনে তাঁকে অন্তর্বর্তিকালীন রক্ষাকবচ দেয় হাই কোর্ট। পাশাপাশি, তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশও দেওয়া হয়।
কিন্তু ১০ ফেব্রুয়ারি পাল্টা একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা চৈতালির বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। এর পর হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন জিতেন্দ্র এবং চৈতালি। কিন্তু বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। একই আবেদন নিয়ে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টেও আবেদন করেছেন জিতেন। শুক্রবার তাঁর আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তার মাঝেই গ্রেফতার হলেন আসানসোলের বিজেপি নেতা।